কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা নিয়ে আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। কমিটি বিলুপ্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুর ২টার দিকে কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা এলাহীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটরসাইকেলে শোডাউন দেয়। পরে কমিটির সভাপতি ইলিয়াস মিয়ার অনুসারীরা ক্যাম্পাসে রামদা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে বহিরাগতদের শোডাউন দিতে দেখা যায়।
এর পাশাপাশি হলের সামনে বাজি ফোটানো হয়। এ সময় সদ্য সাবেক কমিটির কয়েকজনের হাতে দেশীয় অস্ত্রও দেখা যায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী এসে মোটরসাইকেল আরোহীদের বের করে দেন এবং মূল ফটকে পুলিশ মোতায়েন করেন।
মোটরসাইকেল ক্যাম্পাস এরিয়ায় ঢুকল কিভাবে, এমন প্রশ্নে মূল ফটকে দায়িত্বরত আনসার জালাল মিয়া বলেন, ‘আমরা গেটেই ছিলাম। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে নিজেরাই গেট খুলে ঢুকে পড়ে। ’
এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩০ মিনিটের পর আবার মুছে ফেলা হয়। কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদের একাধিক নেতার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের মধ্যে তথ্যগত অমিল পাওয়া গেছে।
রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন ধোঁয়াশা সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অস্ত্র মহড়া, শোডাউন এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। এ সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান, ক্যাম্পাসে হল দখল করতে এবং শিক্ষার্থীদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকা ছাত্রলীগের একটি পক্ষ এমন কাজ করেছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও অন্যান্য হলের প্রভোস্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছি। উপাচার্য মহাদয় ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ