শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
এ জে মোহাম্মদ আলীর মরদেহ ঢাকায়, সুপ্রিম কোর্টে জানাজা আজ পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে তিন নারীসহ নিহত ২০ সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা, বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারার পানি গাজীপুরে ২ ট্রেনের সংঘর্ষ ২২ ঘণ্টা পরও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান কানাডায় শিখ নেতাকে খুনের ঘটনায় ৩ ভারতীয় গ্রেফতার তামিম-হৃদয়ের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দাপুটে জয়ে শুরু বাংলাদেশের বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট মুন্সিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের ৩ জন নিহত দেড় বছর পর শনিবার বিদ্যালয়ে ক্লাস, মিশ্র প্রতিক্রিয়া অভিভাবকদের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪৬২২ ফিলিস্তিনি নিহত দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড

ছাত্রলীগকাণ্ডে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৬
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, কুমিল্লা: অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১১ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। কবে ক্যাম্পাস খুলবে তাও নিশ্চিত করে বলছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় টানা বন্ধ থাকলে সেশনজটের মুখোমুখি হতে হবে।

এই অবস্থায় সংকটের সমাধান করে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ ও ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন সবুজের গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন মার্কেটিং বিভাগের ৭ম ব্যাচের ছাত্র সাইফুল্লাহ খালিদ। এই ঘটনার পর ১ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ছাত্র রন্টি সাহা বলেন, ক্যাম্পাস অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ হওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা সবাই অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। আমার স্নাতক ফাইনাল সেমিস্টারের আর মাত্র একটি পরীক্ষা বাকি। এই পরীক্ষাটি কবে হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন যাতে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দ্রুত ক্যাম্পাস খোলার ব্যবস্থা করা হয়।’

আইসিটির মাসুদ রানা সায়েম বলেন, ‘ঘটনা যা ঘটেছে এর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার করা হোক-এটাই চাই। কিন্তু এর জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রশাসনের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্যাম্পাস খুলে দেয়া।’

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মিঠুন খান বলেন, ‘অল্প কয়েক দিন আগেই আমরা প্রায় ৫০ দিন ছুটি কাটিয়েছি। এছাড়াও সামনের সেপ্টেম্বরে ঈদুল আজহা ও পূজার বন্ধ মিলিয়ে প্রায় ২৫ দিনের মতো বন্ধ থাকবে ক্যাম্পাস। এই অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত এই ছুটি আমাদেরকে সেশনজটে পড়ারই আভাস দিচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত এর সমাধান হোক।’

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মোশারফ বলেন, ‘আগামী ১৭ আগস্ট আমাদের সেমিস্টার পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার আগমুহূর্তে আমরা পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু এই ঘটনার পর ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা এখন হয়তো ঠিক সময়ে পরীক্ষাটা দিতে পারবো না। ফলে অনেক দিনের জন্যই পিছিয়ে যাবো আমরা। তাই এই অবস্থার দ্রুত অবসান হোক এটাই চাই আমরা।’

নূরজাহান তন্বী বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনীতি বুঝি না বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বেও জড়াতে চাই না। আমরা খুব তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে চাই। প্রশাসনের উচিত ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে আমাদেরকে দ্রুত ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেয়া।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১৫ আগস্টের আগে ক্যাম্পাস খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। ১৫ তারিখের পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘সাইফুল্লাহ হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মামলা করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত কাজও চলছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমরা এই বিষয়ে কাজ করছি। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে জানানো হবে।’

এদিকে সাইফুল্লাহ হত্যার মামলাটি প্রথমে পুলিশ পরে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রমে গত ২ আগস্ট ক্যাম্পাস এলাকা থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে এবং পরদিন তাদেরকে একদিনের রিমান্ড দেয় আদালত। এরপর গত ৫ আগস্ট সকালে ঢাকার রামপুরার টিভি ভবনের সামনে থেকে বিপ্লব চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরে তিনি নিজেই সাইফুল্লাহকে গুলি করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।

কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘বিপ্লব আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তবে মামলার অগ্রগতির জন্য অভিযুক্ত আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমরা সফল হবো।’

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com