বাংলা৭১নিউজ,ছাতক থেকে হাবিবুর রহমান নাসির: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ছাতকে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। কেন্দ্রিয় কোন কর্মসূচী না থকায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরাজ হতাশা। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারা মুক্তির দাবীতে মিছিল, সভা-সমাবেশ করলেও এখানে উল্লেখযোগ্য কোন কর্মসূচী লক্ষ করা যায়নি। ফলে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাজনীতির মাঠ ছেড়ে নিজ নিজ পেশায় মনোযোগি হয়ে পড়েছেন। আবার কেউ-কেউ মামলা-হামলার ভয়ে পাড়ি জমিয়েছেন প্রবাসে।
জাতীয় নির্বাচনের কয়েকদিন আগে এখানের বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় এখানের অনেক নেতা-কর্মী গ্রেফতার আতংকে গা ঢাকা দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গ্রেফতার, মামলা-হামলা ও প্রতিপক্ষের নির্যাতনের ভয়ে অনেকেই রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনের পর এখানের বেশ কিছু বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থদের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে দাবী করছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। জাউয়াবাজার ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের বিএনপি নেতা কাজী কয়ছর মিয়া ও কাজী আনছার মিয়ার বাড়িতে ২৮ ফেব্রুয়ারী মধ্য রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। আগুন দেয়ার বিষয়কে নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক সহিংসতা বলে মনে করছেন এখানের বিএনপি সমর্থকরা।
কাজী কয়ছর মিয়ার পুত্র কাজী ফয়ছল মিয়া প্রবাসে থেকেও রাজনৈতিক একাধিক মামলার আসামী হয়েছেন বলে দাবী করছেন তার পরিবার। কাজী কয়ছর মিয়া জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে বিএনপির প্রার্থকে বিজয়ী করতে প্রায় প্রতিদিনই ধানের শীষের পক্ষে সভা ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিপক্ষরা তখন থেকেই বিভিন্নভাবে হুমকী-ধামকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতো। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সব ভয়-ভীতিকে পেছনে ফেলে মাঠে কাজ করেছেন তারা।
ছাত্রদল নেতা কাজী ফয়ছল আহমদের পিতা কাজী কয়ছর মিয়ার অভিযোগ ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েও প্রতিপক্ষরা ক্ষান্ত হয়নি।বিভিন্নভাবে তাদের নির্যাতনসহ ভয়-ভীতি ও হুকী-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। বর্তমানে তারা পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। ছাত্রদল নেতা কামাল মিয়া জানান, সব ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির সর্ব স্তরের নেতা-কর্মীদের রাজপথে নামা উচিৎ।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কর্মটির সদস্য, বিগত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান, জাতীয় নির্বাচন ছিল একটি তামাশার নির্বাচন। নিশ্চিত পরাজয় জেনে সরকার ডাকাতির মাধ্যমে তার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। ভোট গ্রহনের আগেই তার এজন্টসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুষ্ট গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নামলেই শুরু হয় পুলিশি নির্যাতন।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর