বাংলা৭১নিউজ, মোঃ হায়দার আলী গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি: শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। শিক্ষকেরা মানুষ গড়ার কারিগর শুধু নয় তারা যে কাজ মনযোগ দিয়ে করেন সে কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারেন।
এমনি প্রমান করতে পেরেছেন এক অধ্যক্ষ দাম্পতি মো: এনামুল হক ও আমেনা খাতুন।
মোঃ এনামুল হক রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোদাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালনে করেছেন। আর তার স্ত্রী মোসাঃ আমেনা খাতুন গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থেকে এবছর ২৮ ফেব্রুয়ারী অবসর গ্রহন করেছেন। বর্তমানে মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তারা ২০১৭ ইং সাল থেকে গোদাগাড়ী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মহিশালবাড়ী মহল্লায় তাদের ভবণের দু তলার ছাদে ফলজ, সবজি বাগান করে বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন। তাদের দেখা দেখি অনেকে ছাঁদে ফলজ, সবজি বাগান করার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। যে আসে অধ্যক্ষ এনামুল হক ও আমেনা খাতুন তাকেই এক কাজটি করার জন্য সুপরামর্শ প্রদান করে থাকেন। তাদের বাগানে লিচু, আম, পিয়ারা, বেল, জাম, বেদানা, থায় চাম্বুরা, চেরি ফল, করমচা আশ ফল, সফেদা, বরাই, মোসাম্মইল, লেবু, আমড়া, কমলা, চায়না কমলা লেবু, থাই পিয়ারা, জামরুল, নানা ধরনের ফলজ গাছ রয়েছে।
অনেক গাছে লোভনীয় রসালো ফল ধরে আছে। অন্য দিকে সবজি বাগানে লাল শাক, পুই শাক, শসা, পটল, মচির, বিভিন্ন ধরণের মরিচ, বেগুন, ধনে পাতা, লাউ, প্রভূতি। কিছু টবে ফুলও রয়েছে জবা, বেলী, গাঁদা, বিভিন্ন ধরণের গোলাপ, পাতা বাহার, তারা ফুল, রজনী গন্ধা, ৮ প্রকার গোলাপ প্রভূতি ফুল ছাদে শোভা পাচ্ছে। তারা আর্ডার দিয়ে ছোট বড় অনেক টব নির্মান করেছে ওই সব টবে উর্বর জাতের মাটি সংগ্রহ করে এই সব ফলজ, সবজি, ফুল গাছ লাগিয়েছেন। এ ধরণের উদ্যোগের ফলে তারা যেমন বিষ মুক্ত, টাটকা ফল ও সবজি পাচ্ছে, অন্যদের সাহায্য করতে পারছেন।
সে সাথে পরিবারের সদস্যরা ওই সব গাছ, ফুল, সবজি বাগানে নিয়মিত কাজ করে একদিকে যেমন আনন্দ পাচ্ছেন তেমনী অন্য দিকে কাজ করার কারণে তাদের অসুখ কম হচ্ছে। আপনারা অবসর জীবনে এগুলি করার এনার্জি থাকে এমন প্রশ্ন করা হলে সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ এনামুল হক বলেন, দেখুন সাংবাদিক সাহেব ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।
মানুষ অভ্যাসের দাস। প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে এমন কি রাত্রে ১ থেকে ২ ঘন্টা আমরা কাজ করে থাকি। ভাল কিছু পেতে হলে এ ধরণের পরিশ্রম তো করতে হবেই। তিনি আরও বলেন, আমার ছাদে বেশ ফুল গাছ রয়েছে। অনেক শোভা বর্ধন করছে। মোসা: আমেনা বেগম বলেন, আমাদের বাগানে যে সব মরিচ আছে খুব জাল। আমাকে কোন দিন বাজার থেকে মরিচ কেনা লাগে নি। বরং ২/১জন আমাদের বাগান থেকে নিয়ে যায়। এখানে ট্যাপ সিষ্টেম পানির ব্যবস্থা করা আছে যখন পানির প্রয়োজন হয় তখন পানে দেয়া যায়। কোন অসুবিধা হয় না।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস