মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত যুদ্ধাপরাধী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মো. আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর আবুল খায়ের গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা তিনি স্বীকার করেছেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানী উত্তরা-পশ্চিম থানার আহালিয়ার মাস্টার গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র্যাব-১০ এর উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নোয়াখালী এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে আবুল খায়েরসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ, নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধাপরাধী আবুল খায়েরসহ অন্যান্য সশস্ত্র রাজাকার ও পাকিস্তানি আর্মি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় বুদ্ধিজীবী ড. রমেশ চন্দ্র সেনসহ ১০ জনকে হত্যা করে।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১, পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর খায়েরের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে খায়ের দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে থাকেন। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ