বাংলা৭১নিউজ,মো. কামাল হোসেন,চাপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: গত কয়েকদিন ধরেই বেড়েছিল গরম আর রোদের তাপমাত্রা। গবমের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তীব্র গরমের পর অবশেষে গতকাল শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হয় ঝড় সে সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। শীবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল, রহনপুর, ভোলাহটেও একি রকম ভাবে বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে।
বাতাসের তীব্রতার কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশ কিছু স্থানের গাছ, বৈদ্যুতিক খুটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া ভ্রাম্রমান বেশ কিছু দোকানের টিন, পলেথিন, কাপর উড়ে গেছে বাতাসে। কিছু গাছের ডালপালা ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ার জন্য সাময়িকভাবে যাচলাচল বন্ধ থাকে বিশ্বরোডের বিভিন্ন রাস্তায়।
এ বৃষ্টি ফসলের জন্য আশির্বাদ বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ। তবে পাকা শশ্যর জন্য এ বৃষ্টি ও ঝড় ক্ষনি নিয়ে এসেছে। আমের জন্য এ বৃষ্টি কতটা উপকারি জানতে চাইলে হর্টিকলচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. সাইফুর রহমান ম্যাংগো সিটি বিডিকে বলেন, যে কোন ফসলের জন্য এ বৃষ্টি অবশ্যয় উপকারি। বিশেষ করে আমের জন্য এ বৃষ্টি র দরকার ছিল। কিন্তু বৃষ্টি হয়ে যদি বন্ধ হয়ে যায় ভাল। আর যদি আকাশে মেঘ ও ২-৩ দিন বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে আমের জন্য খুব ক্ষতি হবে, অন্য ফসলের জন্যও ক্ষতির সম্ভবনা আছে। ড. সাইফুর আরো জানান, পাঁকা যে কোন ফসলের জন্য এ বৃষ্টি ক্ষতি বয়ে নিয়ে এসেছে। তা ছাড়া এ বৃষ্টি ক্ষতির চেয়ে লাভের পরিমানটাই বেশি।
মাসটা চৈত্র। এমন দিনে খাঁ খাঁ রোদ্দুর গা পোড়ায়, উদাসী চৈতি হাওয়া বয়ে বেড়ায় আমবনের মাতাল করা ঘ্রাণ। লু হাওয়ার ধুলো ওড়ানো ঘূর্ণিতে বাজে শুকনো পাতার নূপুর। ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের শুরু থেকেই কেবল বৃষ্টি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস