বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চেয়ার তুলে ছোঁড়াছুঁড়ি, দ্রুত সভামঞ্চ ত্যাগ মোদির

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: মেদিনীপুরের পর ঠাকুরনগর। বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় ফের বিশৃঙ্খলা। দর্শকদের ভিড়ের চাপে বক্তব্য শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভিআইপি জোন থেকে প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা বলয় ‘ডি-জোন’-এ শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি। পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ব্যারিকেড টপকে হুড়মুড়িয়ে অসংখ্য মহিলা ও পুরুষ ডি জোনে ঢুকে পড়েন। যা দেখে প্রধানমন্ত্রীও কার্যত হকচকিয়ে যান। হিমশিম খেতে হয় তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি কর্তা থেকে রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদেরও। ভিড়ের চাপে এদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। এমনকী, পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে বুঝে নিজের ভাষণ কাটছাঁট করেই সভামঞ্চ ত্যাগ করেন মোদি। 

উল্লেখ্য, গত বছর ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ভাষণ চলাকালীনই দর্শকদের মাথার অস্থায়ী ছাউনির একাংশ ভেঙে পড়ে। একইভাবে পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। প্রায় ৯০ জনের বেশি জখম হয়েছিলেন। কিন্তু, ওইদিন নিজের বক্তব্য কয়েক সেকেন্ডের জন্য থামালেও কাটছাঁট করে সভামঞ্চ ত্যাগ করেননি মোদি। কিন্তু, এদিন বিশঙ্খলা চরমে পৌঁছনোর আগেই ভাষণ শেষ করে হেলিপ্যাডের দিকে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন মঞ্চে মোদি ওঠার প্রায় দু’ঘণ্টা আগেই ১৯ বিঘা আয়তনের কৃষিজমিতে তৈরি সভাস্থল কানায় কানায় ভরে ওঠে। দর্শকমন জিততে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় ভাষণ শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গেই মোদি ধ্বনি ও সহস্র করতালিতে গমগম করে সভাস্থল। কিন্তু, তার কিছুক্ষণ পরই ছন্দ কাটে সভার।

স্রোতের মতো দর্শক ঢুকতে থাকায় ভিড় বেসামাল হয়ে ওঠে। সভামঞ্চের সামনে অবস্থিত ভিআইপি জোনে আছড়ে পড়ে পিছনের দর্শকরা। ফলে চেয়ারে বসা ভিআইপি জোনের মানুষজন উঠে পড়তে বাধ্য হন। হইচই এবং চিৎকার শুরু হয়। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য খোদ প্রধানমন্ত্রী মঞ্চ থেকে ঘোষণাও করেন, আপনারা শান্তি বজায় রাখুন। এই মাঠ ছোট হয়ে গিয়েছে। আপনারা যে যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেখানেই থাকুন। যদিও ভিড়ের চাপে ভয়ে দেশের প্রশাসনিক প্রধানের আবেদনও কেউ শোনেননি।

মুহূর্তের মধ্যে ভিআইপি জোনে আরও কয়েকগুণ চাপ বেড়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চের সামনে ডি জোনের দিকে শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি। মহিলারা ব্যারিকেড টপকে মঞ্চের সামনে লাফ দেন। তাতে অনেকে জখমও হন। তাঁদের অনেকের কোলে শিশুও ছিল। বহু মানুষ মঞ্চের সামনে অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েন।

এদিকে, ব্যারিকেড টপকে বিপুল সংখ্যক মানুষ সভামঞ্চের সামনে ঢুকে পড়লেও পুলিস আটকাতে পারেনি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:বর্তমান অনলাইন/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com