শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়ে ‌‌শাহবাগ ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শরীয়তপুরে থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন শহীদ মিনারের পর শাহবাগ অবরোধ বিডিআর সদস্যের স্বজনদের জেনেভা ক্যাম্পের আলোচিত সন্ত্রাসী চুয়া সেলিম গ্রেপ্তার মা‌র্কি‌নিদের হয়ে ঢাকায় বিশেষ দা‌য়িত্ব সামলাবেন ট্র্যাসি জ্যাকবসন বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন রাশিয়ায় বিমানবাহিনীর তেলের ডিপোয় ইউক্রেনের হামলা হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

চুয়াডাঙ্গায় সার সংকটে শঙ্কিত কৃষকরা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, (চুয়াডাঙ্গা )প্রতিনিধি:চুয়াডাঙ্গার ডিলাররা সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের। কারণ প্রথমে সার নেই বলা হলেও কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেশি দিলেই ডিলাররা কৃষকদের সার সরবরাহ করছেন। ডিলারদের এমন সিন্ডিকেটের কারণে এবার জেলার সবজি ও ভুট্টার আবাদে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য, সরকার নির্ধারিত দামে ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি এবং ডিএপি সার বিক্রি করা হয়। প্রতিবেজি ইউরিয়া ১৬ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, এমওপি ১৫ টাকা এবং ডিএপি ১৬ টাকায় কৃষকদের কাছে বিক্রি করার কথা। তবে মাঠ পর্যায়ের তথ্য, এর চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করা হচ্ছে। 

এবার চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় এ মৌসুমে ৩২ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করছেন কৃষকরা। আগাম সবজি চাষ হচ্ছে ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। ভুট্টার আবাদ হচ্ছে ৪৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এ জেলাতেই দেশের সবচেয়ে বেশি ভুট্টার চাষ করা হয়। এছাড়া কৃষকরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, করোলা, লাউসহ আগাম বিভিন্ন সবজি আবাদ করছেন। সার সংকট বা সারের বাড়তি দামের কারণে এসব আবাদের ফলনে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।  

যদিও চুয়াডাঙ্গার ডিলারদের কাছে ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে ১ হাজার ৩২৫ মেট্রিক টন, টিএসপি ৪৫১ মেট্রিক টন, এমওপি ৪৮৮ মেট্রিক টন ও ডিএপি ৫৩৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আবার চলতি মাসে ডিলারদের জন্য ৩ হাজার ১০৩ মেট্রিক টন ইউরিয়া, ৫৮০ মেট্রিক টন টিএসপি, ৮৩৯ মেট্রিক টন এমওপি ও ১ হাজার ৩৭৪ মেট্রিক টন ডিএপি সার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সার উত্তোলনে ডিলারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। ওই সময়ের মধ্যে শুধু ৮৩৫ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উত্তোলন করেছেন তারা। অন্য সার তারা উত্তোলন করেননি।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন অনুমোদিত ডিলার রয়েছেন ৫০ জন ও বিএডিসির ডিলার রয়েছেন ৫৯ জন। বিএডিসির ২ জন ডিলার লাইসেন্স নবায়ন না করায় তাদের বিক্রি কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।

সারের সংকট ও বাড়িত দামের ব্যাপারে কথা বলা হয় সদর উপজেলা ও আলমডাঙ্গার কৃষক সোহেল, স্বপন, রবিউল, রতন, আজমত আলি, জমির শেখের সঙ্গে। তাদের দাবি, ডিলাররা সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন।

কৃষকদের বলা হচ্ছে, সার কম, তাই দাম বেশি। কারণ অন্য জায়গা থেকে সার এনে দিতে হবে। সার বিক্রির কোনো ভাউচারও কৃষকদের দেয়া হচ্ছে না। কারণ দাম বেশি রাখা হচ্ছে। কৃষকদের কাছ থেকে দাম বেশি রাখলেও ডিলাররা নিজেদের খাতায় সরকার নির্ধারিত দামই লিখে রাখেন। সার সংকটে জিম্মি হয়ে পড়া কৃষকরা প্রতিবাদ করলেই তাদের জানিয়ে দেয়া হচ্ছে তারা আর সার পাবেন না। এমনকি হুমকি দেয়া হচ্ছে কোথা থেকে সার পান তাও দেখব। সব সারেই প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। অনৈতিক সুবিধা নেয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানান তারা।

দামুড়হুদা উপজেলার পোতারপাড়া গ্রামের কৃষক উজ্জল হক জানান, তিনি ধান ও শিমের আবাদ করেছেন। সার কিনতে গেলে প্রতি কেজিতে ২ টাকা করে বেশি নেয়ার অভিযোগ তার। এ ব্যাপারে দেখার কেউ নেই বলেও অভিযোগ তার। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিলারের ম্যানেজার জানান, মালিক যেভাবে তাদের নির্দেশ দেন সেভাবেই তারা সার বিক্রি করেন। তাদের কিছুই করার নেই। কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দাম রাখা হলেও খাতায় ঠিকই সরকার নির্ধারিত দাম লিখে রাখা হয়; এমন অভিযোগেরও সত্যতা স্বীকার করেন তিনি। 

এদিকে চুয়াডাঙ্গা ডিঙ্গেদহ বাজারের বিসিআইসি সার ডিলার আনছার আলী জানান, সারের কোনো সংকট নেই। এমনকি নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি করা হচ্ছে। সারের দাম বেশি নেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি তার।

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী বলেন, সারের সংকট নেই। এবার ভুট্টার আবাদ বেশি হবে বলে আমরা অতিরিক্ত সার বরাদ্দ চেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কোনো ডিলার যদি সারের দাম বেশি নেয় বিষয়টি খতিয়ে দেখব। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলি হাসান জানান, তাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে সারের দাম বেশি নেয়া রাখা হচ্ছে। মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কৃষকদের সার নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সরকারি নির্ধারিত মূল্যেই সার বিক্রি হবে। বেশি দাম রাখার সত্যতা পেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

জেলা প্রশাসক (ডিসি) নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, সরকার কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে। সারের কোন সংকট নেই। অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রির অভিযোগ পেলে ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com