বাংলা৭১নিউজ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর উপর ১৯৯৩ সালের ২৩ জুন বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু নির্মাণের পর উদ্বোধন করা হয়। ওপার এপারের মানুষকে এক করতে আর যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করতে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উদ্বোধন করেন। সেতুটি চালু হবার পর পাল্টে যেতে থাকে মানুষের জীবন মান উন্নয়ন। অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে থাকে কৃষক। সর্স্তরের কাজের জন্য যাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে আসতে হত বিশেষ করে অসুস্থ রোগীকে সহজে সদরের হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হত না। ওপার এপার দু পারের মানুষের যাতায়াতের এ মেল বন্ধন জাহাঙ্গীর সেতু যাকে আমরা মহানন্দা সেতু কিংবা বর্তমানে ১ম সেতু বলেও ডাকছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমানে সেতুটির অবস্থা বড় নাজুক। এর একমাত্র প্রধান কারণ ওজনের অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে যানবাহন সেতু দিয়ে যাতায়াত করা। সেতুর পাশেই সড়ক জনপথ কার্যালয়, সেতুসহ সেতুর সংযোগ সড়কের আশপাশের কিছু স্থানে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যে কেউ মূল সেতু ও আশপাশের অন্য স্থান দেখলেই বুঝে যাবে যে কত রকমের সমস্যা চোখে জল জল করে ধরা পড়ছে কিন্তু সড়ক জনপথ কার্যালয় যেন বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। ছোট সমস্যা থেকেই তো বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়। উদ্বোধনের সময় জানা যায় সেতুটির স্বাভাবিক আয়ু ধরা হয় ৫০ বছর। এ সেতুতে ডাবল এক্সেল যানের অনুমোদিত লোড ১৫-২২ টন। কিন্তু প্রতিদিনই ৪৪-৫০ টন ওজন নিয়ে বিপুলসংখ্যক পণ্যবাহী যানবাহন সেতু অতিক্রম করছে। বিশেষ করে বিশাল বিশাল পাথরবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে সেতুটির অবস্থা এখন নড়বড়ে। এমন অবস্থার চিত্র তুলে ধরে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। সরজমিনে দেখা গেছে, পুরো সেতুর ওয়্যারিং সারফেসে অসংখ্য ছোট ছোট ফাঁটল দেখা দিয়েছে। সেতুতে উঠতে এবং নামতে সংযোগ পাত প্রায় সময় পাতের অংশ ছুটে যেত। কিছুদিন আগেই দুদিকের পাত নতুন করে মেরামোত করা হয়েছিল। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার সে পাতের অংশ আগের মত ছুটে যায়। বর্তমানে দুদিকেরি মধ্যের পাত চুরিও হয়ে আছে। সেতু সংযোগ সড়কের উভয় পাশের মধ্য বরাবর ফাঁকা হয়ে রয়েছে। যা সে পাত দিয়েই ঢাকা থাকার কথা। তবে আশার কথা শোনা গেছে সড়ক জনপথ সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে, ২০১৭ ডিসেম্বরে চীনা নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। অচিরেই সেতুতে বড় ধরনের সংস্কার কাজ করবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বলেও জানা গেছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস