বাংলা৭১নিউজ, এম.নাজিম উদ্দিন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ বাউফল আসনে নৌকার মাঝি হলেন, চিফ হুইপ আসম ফিরোজ। গত ২২ নভেম্বর আসম ফিরোজের ঋণ পূনঃ তফশিলের উপর দেয়া হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রবিবার চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকি স্থগিত করেছেন। এরফলে নির্বাচন করতে তাঁর আর কোন বাধা রইল না। চেম্বার জজ আদালতের শুনানীতে আসম ফিরোজের পক্ষে ছিলেন ব্যারিষ্টার আমিরুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং এ্যাডভোকেট আমির উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী। অপরপক্ষের শুনানীতে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ব্যারিষ্টার রোকন উদ্দিন। রবিবার বেলা পৌনে দুইটায় চেম্বার জজ আদালতে বিচারপতি উভয়পক্ষের শুনানী শেষ পূর্বের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দেন। এদিকে চেম্বার জজের স্থগিতাদেশের খবর বাউফলে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে এসে আনন্দ উৎসব করতে থাকে। তারা শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখতে বাউফলের সিংহ পুরুষ আসম ফিরোজকে সপ্তমবারের মতো নির্বাচিত করে আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ায় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল গত ১৯ নভেম্বর চিফ হুইপ আসম ফিরোজের মেসার্স পটুয়াখালী জুট মিল’র নামে সোনালী ব্যাংকের ঋণ পূনঃতফশীল করণের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন করেছিলেন (পিটিশন নম্বর ১৪৫৩৩ তারিখ ১৯/১১/১৮)। ওই রীটের শুনানী শেষে বিচারপতি সোনালী ব্যাংকের ঋণ পূনঃতফশীল করানোর সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকে বাউফলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
এবিষয়ে চীফ হুইপ আসম ফিরোজের এপিএস আনিছুর রহমান বলেন, বিষয়টি সোনালী ব্যাংক ও ঋণ গ্রহীতার ব্যাপার। চীফ হুইপ আসম ফিরোজ ঋণ খেলাপি হলে সোনালী ব্যাংকের আপত্তি দেয়ার কথা। অথচ আপত্তি জানিয়ে রিট করেছেন তৃতীয় পক্ষ। চীফ হুইপ আসম ফিরোজ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সকল শর্ত মেনেই ঋণ রিসিডিউল করেছেন। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে এনওসি দিয়েছেন। সোনালী ব্যাংকও প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন। তিনি বলেন, রীটকারী আদালতকে ভুল বুঝিয়ে পিটিশন করেছিলেন। আল্লাহর রহমতে বাউফলে শেখ হাসিনার নৌকার রক্ষক আসম ফিরোজই জয়ী হলেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস