বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এখন ঢাকায়। তাঁর এই ‘ঐতিহাসিক’ সফরে দুই দেশের মধ্যে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এসব চুক্তি ও সমঝোতার মধ্যে বিনিয়োগ চুক্তি ও সমঝোতা রয়েছে। এর ফলে চীনের তরফ থেকে বাংলাদেশে ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি এসেছে।
তা ছাড়া এই সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা প্রেসিডেন্ট যৌথভাবে ছয়টি প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের সামনে দেওয়া বক্তৃতায় এই সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। এই সফরে সর্বাত্মক অংশীদারত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারত্ব ও সহযোগিতার জায়গায় নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
উদ্বোধন হলো ৬ প্রকল্প
প্রকল্পগুলো হলো ১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইনস্টিটিউট স্থাপন, ২. কর্ণফুলী নদীর নিচে একাধিক লেনের টানেল নির্মাণ, ৩. পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, ৪. চার স্তরের জাতীয় তথ্যভান্ডার, ৫. চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ৬. শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণ প্রকল্প।
চুক্তি-সমঝোতা স্মারক
সফরে উল্লেখযোগ্য সমঝোতা স্মারকগুলো হলো ১. দুর্যোগ মোকাবিলা ও হ্রাসকরণ, ২. সেতু নির্মাণ, ৩. বিনিয়োগ ও উৎপাদন সক্ষমতা সহযোগিতা, ৪. বাংলাদেশ-চীন মুক্তবাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই, ৫. সামুদ্রিক সহযোগিতা, ৬. দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ৭. জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, ৮. জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহযোগিতা, ৯. ইনফরমেশন সিল্ক রোড, ১০. তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সহযোগিতা এবং ১১. সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা সহযোগিতা।
দুটি রূপরেখা চুক্তি
সই হওয়া দুটি রূপরেখা চুক্তি হলো কর্ণফুলী নদীর নিচে একাধিক লেনের টানেল নির্মাণ ও দাশেরকান্দিতে সাগরকেন্দ্রিক ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। এ দুটি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য চারটি পৃথক ঋণচুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
এ ছাড়া উৎপাদন সক্ষমতা সহযোগিতা চুক্তিও সই হয়েছে।
চারটি অর্থনৈতিক চুক্তি
সফরের সময় চারটি অর্থনৈতিক চুক্তি সই হয়েছে। এগুলো হলো পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, চীনের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে প্রশস্তকরণ প্রকল্প, ব্রডকাস্টিং লাইসেন্স প্রটোকল চুক্তি।
এ ছাড়া দ্বিস্তরের পাইপলাইন-সমৃদ্ধ পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা এবং ডিপিডিসি এলাকা ও পাঁচটি টেলিভিশন স্টেশনের মধ্যে পাওয়ার সিস্টেম বর্ধিতকরণ চুক্তি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম