বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না করালে যে কোন সময় উনি অন্ধ ও প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারেন।
আজ শনিবার নয়াপল্টলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, খালেদা জিয়ার দুই চোখই অপারেশন করা। মানুষের কিছু নিয়মিত অসুখ আছে। যেগুলোর কারণে চোখে সমস্যা হয়। চোখের পানি শুকিয়ে যায়।
চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যায়। প্রচন্ড যন্ত্রণা হয়। খালেদা জিয়ার পরিবারের যে সদস্যরা স্বাক্ষাত করেছেন তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তাঁর চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে গেছে। এই অবস্থায় একবার যদি কর্নিয়া ড্রাই হয়ে যায় তাহলে কোন অবস্থাতেই ভালো করা যাবেনা।
নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. ওয়াহিদুর রহমান বলেন, খালেদা জিয়ার ঘাড়ের নার্ভগলো চাপা পড়ে গেছে। সারাক্ষণ ব্যথা করে। ঝিনঝিন করে। একটু হাটলে হাটু অবস হয়ে যায়। এসব সমস্যায় যে কোন সময় তার প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশনেত্রীর উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা দলের উচ্চ পর্যায়ের একটি ডেলিগেশন পাঠিয়েছিলাম। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানোর কথা জানান। তারা ফাইলপত্র প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছেন। সিদ্ধান্ত হীনতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল আটকে আছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, একজন সাধারণ বন্দীরও সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু শুধু খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রাখার জন্য, নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য চিকিৎসা না দিয়ে অসুস্থ করে রাখা হচ্ছে। এর পেছনে নীলনকশা আছে। এসময় তিনি সরকারকে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কারাগার থেকে বিশেষায়িত হাসপাতাল, বিষেশ করে ইউনাইটেড হাসপাতালে ট্রান্সফার করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান খান ঢালী, জয়নাল আবদিন ফারুক, নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. ওয়াহিদুর রহমান, প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রফসর ডা. মালিহা রশিদ, প্রফেসর ডা. এম আলী প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস