দেশের চায়ের আভ্যান্তরিন চাহিদা পুরণ করে বিদেশে রপ্তানী বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: জহিরুল ইসলাম হাতে নিয়েছেন বিভিন্ন উদ্যোগ। ইতিমধ্যে এই উদ্যোগগুলোও সফলাতার মূখ দেখেছে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর চায়ের রপ্তানী বেড়েছে। আর আগামীতেও তা আরো বাড়াতে অভ্যাহত রয়েছে সে সকল কর্মকান্ড। এই কর্মকান্ডের ধারাবাহিতকায় বাংলাদেশ বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের উদ্যোগে পরিমিত খরচে গুনগত মানের চা উৎপাদনের লক্ষ্যে চা বাগান ব্যবস্থাপক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে শুরু হয় দিন ব্যাপী কর্মশালা।
রবিবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট মিলনায়তনে এ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড.রফিকুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট ব্রান্স চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী ও ইসপাহানী জেরিন টি এর জিএম সেলিম রেজা চৌধুরী।
দিন ব্যাপী কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চা বিজ্ঞানী ড. ইসমাইল হোসেন ও চা বিষেজ্ঞ প্রফেসর মো. লুৎফুর রহমান। কর্মশালায় বিভিন্ন চা বাগানের ব্যবস্থাপক সহকারী ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তাসহ মোট ৪০জন অংশগ্রহনকারী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. রফিকুল হক জানান, এ বছর চায়ের আভ্যান্তরিন চাহিদা পুরণ করে রপ্তানী হয়েছে আশানুরুপ। কিন্তু রপ্তানী বাড়াতে গেলে চায়ের গুনগত মান ঠিক রাখতে হবে। তাই চা বোর্ডের উদ্যোগে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানী বৃদ্ধির জন্য চায়ের গুনগত মান যেন ঠিক রাখা হয় সে লক্ষ্যে চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশে চা গবেষনা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তিসহ আদর্শ চা উৎপাদনের কৌশল বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়।
এর আগে পঞ্চগড়ে ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল চালু করে হাতে কলমে প্রশিক্ষন কার্যক্রম চালু করা হয়। ইতিমধ্যে অনেক গুলো ক্লাস শেষ হয়েছে।
এ ব্যাপরে বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট ব্রান্স চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, এখন প্রায় প্রতিবছরই আমরা প্রাকৃতিক সমস্যায় পড়ছি। প্রথমত এগুলো মোকাবেলা করে চায়ের উৎপাদন ধরে রাখতে হবে। তবে আশার বিষয় এ বছর আমরা বেশ কিছু চা রপ্তানী করতে পেরেছি। এই রপ্তানী ধরে রাখতে হলে অবশ্যই গুনগত মান ঠিক রাখতে হবে। এর জন্য আমাদের দুটি পাতা একটি কুঁড়ি উত্তোলনের উপর জোড় দিতে হবে। পাতা বড় হয়ে গেলে পাতায় পলিফেনন ও ক্যাপেইন কমে যায়। ফলে চায়ের গুনগত মান কমে। এছাড়াও আমাদের সঠিক ভাবে উইদারিং, সিটিসি মেশিনের ব্লেডগুলোর সঠিক ধার রেখে পাতা কাটা, বিশেষ করে ফারমেনটেশন সঠিক নিয়মটি মেনে চলাসহ অনান্য বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী জানান, চায়ের গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য চা গবেষনা কেন্দ্র কাজ করছে। তিনি জানান, এ বিষয়ে প্রচুর প্রশিক্ষনের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে চা বাগানে চা প্রসেসিংএ যারা নতুন তাদের অবশ্যই প্রশিক্ষন নিতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি