বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিন ছাড়াই ঋণপত্র স্থাপনে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মার্জিন ছাড়া ঋণপত্র স্থাপন করা যাবে।
সোমবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে তা দেশের সব তফসিলী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে হাওর এলাকায় বন্যা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টিসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চালের স্বাভাবিক সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতদপ্রেক্ষিতে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসাবে বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিতকরণার্থে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূণ্য মার্জিনে ঋণপত্র স্থাপনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এখানে উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২ ডিসেম্বর তারিখে জারিকৃত এলসি মার্জিন নির্ধারণ সংক্রান্ত সার্কুলারে সকল প্রকার আমদানির ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার নির্ধারণ করা যাবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রিভলভিং সিসি/ওডি ঋণের ক্ষেত্রে স্থানীয় মিল মালিকগণসহ সকল ধান বা চাল ব্যবসায়ীদের গৃহীত অগ্রিম বা ঋণ সর্বোচ্চ ৩০ দিন অন্তর অন্তর আবশ্যিকভাবে পরিশোধ বা সমন্বয় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালনের বিষয়টিও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস