বাংলা৭১নিউজ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি: গ্রীষ্ম শেষে শীতের আগমনে ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করেছে রাজবাড়ীতে দিনে দিনে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে শীতের উষœতা ছড়াতে লেপ ও তোষকের জুড়ি নেই। তাই এ সময়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে রাজবাড়ীর লেপ তোষকের কারিগররা। তাদের অভিযোগ মালিকরা তাদের অনেক কম মুজুরি দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। আর মালিকরা জানান দ্রব্য মুল্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তুলা ও কাপড়ের দাম যে কারনে সামান্য লাভে করতে হচ্ছে ব্যাবসা।
সারাদেশের মত রাজবাড়ীর প্রতিটি উপজেলা লেপ তোষকের কারখানা ও দোকানে শীতের শুরুতে শীত ররণের প্রস্তুতি চলছে । সময়ের পরিবর্তনে সাথে সাথে নিত্য-নতুন অনেক ধরনের শীত বস্ত্র বাজারে থাকলেও লেপ ও তোশক ব্যবহারে বাড়তি আগ্রহ রয়েছে সবার মধ্যে। কারণ প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে লেপ তোশকের ব্যবহার।
রাজবাড়ী শহরের লেপ তোশক বাজার এলাকার প্রায় ২৫ টির অধিক কারখানা ও দোকান রয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত ১০ টা পর্যন্ত কাজ চলছে প্রতিটি কারখানা ও দোকানে। এছাড়া শীত মৌসুমে প্রতিদিন একটি কারখানায় ১৫ থেকে ২০টি করে লেপ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রাজবাড়ীর লেপ তোশক কারিগর আনোয়ার মল্লিক জানান, সারাদিন কাজ করে তারা দেড় থেকে দুই শত টাকা মুজুরি পান এতে তাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। মালিকরা তাদের সঠিক মুল্য দেন না বলেও তারা অভিযোগ করেন।
রাজবাড়ী বাজারের লেপ তোশক ব্যাবসায়ী শামীম হোসেন জানান, শীতের শুরুতেই একটু কাজের পরিমান বেশি থাকে। তাছাড়া শীত জুরেও কাজ থাকে। তবে শীত বাড়তে থাকলে কাজ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। তবে বর্তমানে তুলা ও লেপের কাপরের দাম বেশি হওয়াতে একটু বেশি খরচ পড়ছে।
রাজবাড়ী জেলার পাচটি উপজেলায় শতাধীক লেপ ও তোশকের কারখানা রয়েছে, যাতে কাজ করছে অন্তত চারশত কারিগর।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস