বাংলা৭১নিউজ,(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহরে হাট-বাজারে মানুষের প্রচন্ড ভীড়, হিমশিম খাচ্ছে চাটমোহর উপজেলা প্রশাসন। সরকারি সকল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে.সামাজিক দুরত্ব এবং বিধি নিষেধ না মেনে রাত ১২টা হাট বসানো হয।একই সাথে উপজেলার সকল হাট-বাজারে অসংখ্য মানুষের আগমন ঘটছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা ও লকডাউন করার মাধ্যমে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের মধ্যে আতংক আছে, তবে সচেতনতা কম। গ্রামের মানুষের ঘরের বাইরে থাকার প্রবণতা বেশী। পুলিশ বা প্রশাসনের লোকজন দেখলেই এলাকা শুন্য, চলে গেলেই আগের অবস্থা।
চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা হাটের সাপ্তাহিক নির্ধারিত দিন শনিবার। কিন্তু শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টায় রসুন হাট বসে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানা পুলিশ গিয়ে হাট বন্ধ করে দেয়। এরপর রাত ১২টায় ফের শত শত মানুষ হাটে সমবেত হয়। শুরু হয় বেচাকেনা। রাত ২টার দিকে আবারো পুলিশ হাটে গিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিচ্ছিন্নভাবে শনিবার হাটে বেচাকেনা হয়।
এদিকে রবিবার ভোর থেকে জমে ওঠে উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট অমৃতকুন্ডা (রেলবাজার) হাট। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত মানুষ সমবেত হয় হাটে। সামাজিক দুরত্বের কোন প্রকার বালাই ছিলো না এই হাটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ৫টা থেকেই হাটটি জমজমাট হয়ে ওঠে। কোন প্রকার সামাজিক দূরত্বের এবং সরকারি বিধিনিষেধের বালাই ছিলো না। হৈ হুল্লোড়, চেঁচামেচি চলেছে সমানতালে।
এছাড়া রবিবার ভোরে হরিপুরে রসুন হাটটিও জমজমাট হয়ে ওঠে। সকাল ৮টা পর্যন্ত শত শত হাটুরে বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করেন। একই অবস্থা ছিলো চাটমোহর পুরাতন বাজার ও নতুন বাজারেও। সকাল ১১টা পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের পদচারণায় সরগরম ছিলো বাজার দুইটি।
বাংলা৭১নিউজ/এফএস