বাংলা৭১নিউজ, ইবি প্রতিনিধি: চাকরী প্রত্যাশীদের আন্দোলনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করেছে প্রশাসন।
সোমবার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিটিং করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে। তবে নতুন করে কোন বোর্ডের তারিখ ঘোষনা করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১১ টায় ভিসির বাংলো’য় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী চাকরী প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা বোর্ড স্থগিত করতে সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিজানুর রহমান টিটু, আনিছুজ্জামান লিটন, মোহাম্মদ আলী শিমুল, কাশেম, আবুল খায়ের, রানু, মাহবুবসহ ৩০/৩৫ জন এবং ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের প্রায় শতাধিক কর্মী ভিসির বাংলোর সামনে অবস্থান নেয় এবং সেখানে থাকা প্রার্থীদের চলে যেতে বলে। পরে তারা ক্যাম্পাসে শোডাউন দিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
প্রশাসনের পক্ষে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান তাদের সাথে কথা বলেও কোন সমাধানে আসতে না পেরে বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে জানান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষনিক বোর্ড মেম্বর এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে মিটিং-এ বসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক পদে, আই সি টি সেলের কম্পিউটার অপারেটর, ফার্মেসী বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক এবং এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড জিওগ্রাফীবিভাগের প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে নতুর করে কোন বোর্ডের তারিখ ঘোষনা করা হয়নি।
এবিষয়ে রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন,‘ অনিবার্যত কারন বসতঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন করে বোর্ডের তারিখ ঘোষনা করা হবে।
চাকরী প্রত্যাশী মিজানুর রহমান টিটু, আবুল খায়ের এবং মাহবুব হোসেন বলেন,‘ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বার বার আমাদের চাকরী দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে কিন্তু তার কোন বাস্তবায়ন আমরা না দেখে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের চাকরী না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোন বোর্ড হতে দেবনা।’
এবিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন,‘ বর্তমান প্রশাসন নিয়ম বহিঃভূতভাবে কাওকে চাকরী দেওয়ার আশ্বাস দেয়নি। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী যদি কারো যোগ্যতা থাকে তবে তাকে আমরা অবশ্যই নিয়োগ দেব।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস