বাংলা৭১নিউজ, মো. কামাল হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর-নাচোল-ভোলাহাট) আসন এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচনী মাঠ গরম করে রেখেছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আর বিএনপির দুই প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন একজন।
এদিকে নির্বাচনী মাঠে জামায়াতের তৎপরতা চোখে না পড়লেও জাতীয় পার্টি প্রার্থীর উপস্থিতি রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরে তৃণমূল পর্যায়ে ‘উঠান বৈঠক’ করছেন। নিজেদের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছার কথাও জানান দিচ্ছেন। তাদের এ তৎপরতায় দলীয় কোন্দলের উত্তাপও বাড়ছে। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন এই আসনটি ছিল বিএনপির দখলে। ২০০৮ সালে তা ফিরে আসে আওয়ামী লীগের ঘরে।
মূলত এই আসনে এ দুই দলের প্রার্থীর মধ্যে তীব্র লড়াই হবে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা। দশম সংসদ অর্থাৎ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ৯৩ হাজার ৫০৮ পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে এক সময়ের বিএনপি নেতা খুরশেদ আলম বাচ্চু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন ২৭ হাজার ৮৯৩ ভোট। এই আসনে হেভিওয়েট আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে রয়েছে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব। দুই নেতার আলাদা আলাদা কার্যালয় থেকে দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। এর বাইরেও রয়েছেন ভোলাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আশরাফুল হক চুন্নু এবং নাচোল উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি আব্দুল কাদের।
এছাড়াও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। বসে নেই কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. রফিকুল আলম সৈকত জোয়ার্দ্দারও। তিনিও নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে রহনপুর মহন্ত স্টেটের মহন্ত মহারাজ ও জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ক্ষিতিশ চন্দ আচারী এবং বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া সাবেক গোমস্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষকলীগের অপর সহ-সভাপতি মো. খুরশিদ আলম বাচ্চুও রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশায়।
বর্তমান সংসদ সদস্য মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস বলেন, ‘সংগঠন ও এলাকার জনগণ যে লক্ষ্য নিয়ে আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন, সেই লক্ষ্য তথা এলাকার উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সংগঠনের হাইকমান্ডের কাছে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী আমাকে আবারও মনোনয়ন দেওয়া হবে। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন গোমস্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. বাইরুল ইসলাম এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস