বাংলা৭১নিউজ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: সারা দেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও এসপি টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম এর কঠোর নজরদারি ও সঠিক নিয়মে ১০৩ টাকা খরচে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি পায় নারী-পুরুষ মিলিয়ে ৪৪ জন। এ ৪৪ জনের মধ্যে বেশির ভাগ প্রার্থী গরীব ও অসহায় পরিবারের। এদের ভেতর দরিদ্র ১১ জন প্রার্থীর মেডিকেল পরীক্ষার খরচও বহন করেন এসপি টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম। তেমনি পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি পেয়েছে দরিদ্র-দিনমজুর পরিবারের ২ জন মেয়ে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পৌর এলাকা টিকরামপুর। এ এলাকার মোহনপুর গোরস্থান পাড়ার কাঠ মিস্ত্রীর মেয়ে মোসা. সানুয়ারা খাতুন। বাবা গোলাম মোস্তফা কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করেন এবং মা মোসা. রেখা বেগম গৃহিনী। মাটির মেঝে ও টিনের বাড়িতে পড়াশুনা করে আজ সানুয়ারা খাতুন পুলিশ সদস্য। তাইতো পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলামকে ধন্যবাদ দিতে দিতে বার বার চোখের পানি মুছছিলেন সানুয়ারা খাতুন।
তিনি জানান, শুনেছিলাম পুলিশে চাকুরি পেতে হলে নাকি লাখ লাখ টাকা লাগে। আমরা গরীব, আমার বাবার পক্ষে এত টাকা দেবার ক্ষমতা নেই। তবু আমি মনে আশা নিয়ে সঠিক নিয়মে ১০৩ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। ফলাফলের দিন যখন দেখলাম লিস্টে আমার নাম উঠেছে তখন নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
কাঠ মিস্ত্রীর মেয়ে মোসা. সানুয়ারা খাতুন আরো জানান, শুনেছিলাম পুলিশ সুপার ঘোষণা দিয়েছিলেন নিজ যোগ্যতায় ১০৩ টাকাতেই পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি হবে। সে কথা আজ সত্য হয়েছে। পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন সৎভাবে পুলিশে নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারি।
আরেক প্রার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বেনীপুর গ্রামের দিনমজুর মো. তরিকুল ইসলামের মেয়ে মোসা. মনজিলা খাতুন। মা মোসা. মর্জিনা বেগম গৃহিণী। মাটির দেয়াল আর উপরে টিন দেয়া বাড়ি। সে বাড়ির টিনেও যেন মর্চে ধরেছে। কষ্টের জীবন মনজিলাদের। মা-বাবা কষ্ট করে মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছিল। সে মেয়েটাই আজ পুলিশ সদস্য।
১০৩ টাকার বিনিময়ে ভাগ্য বদলের দিন শুরু হয়েছে তাদের। তাইতো আনন্দের জোয়ার বইছে ছোট্ট এ পরিবারে। দুহাত তুলে দোয়া করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম পিপিএমসহ সংশ্লিষ্টদের।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস