বাংলা৭১নিউজ, তালুকদার মোঃ কামাল, বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ও আমতলী ইউনিয়নের হলদিয়া নদীর উপর তুজির হাট সংলগ্ন স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও ব্রীজ নির্মান না হওয়ায় একটি বাঁশের সাঁকোই এখন ৩০/৪০ হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা।
প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এতে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। সরকার আসে আর সরকার যায় কিন্তু এই হলদিয়া নদীর উপর তুজির হাট সংলগ্ন বাঁশের সাঁকোর কোন পরির্বতন হয় নাই।
জাতীয় এবং ইউপি নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা মঞ্চে উঠে ক্ষমতায় গেলে ব্রীজ নির্মান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ভুলে যান ওইসব প্রতিশ্রুতির কথা।
এলাকাবাসীরা জানান, একটি ব্রীজের অভাবে চিলা, ভায়লাবুনিয়া, শারিকখালী, চিলা এসবি, ঘুঘুমারি, ছোনাউঠা, চারের খাল, তক্তাবুনিয়া, গুরুদল, হলদিয়া, মুইনারী, রামজি, অফিসবাজার, ও পূর্ব চিলা গ্রামের পথচারী উপজেলা শহরে, রোগীদেও নিয়ে আমতলী হাসপাতালে নেওয়া, বিচার প্রার্থীদের ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে, কমিউনিটি ক্লিনিকে, পোস্ট অফিসে,আমতলী সরকারী কলেজ, বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, আমতলী হোসাইনিয়া সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, গুরুদল স:প্রা: বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তক্তাবুনিয়া নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বেশ কয়েকটি হাট বাজারে যাতায়াত এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে।
গ্রামগুলি কৃষি প্রধান হওয়ায় মৌসুমী ফসলসহ ধান,খেসারী ডাল, মুগ ডাল, তরমুজ উৎপাদনে উপজেলার শীর্ষে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য সামগ্রী ভারী যানবাহনে করে অন্যান্য বাজার গুলোতে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে পারে না।
এতে করে তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন বলে জানান। জরুরী প্রয়োজনে গর্ভবতী মুমূর্ষ রোগীকে উপজেলা সদর অথবা জেলা শহর বা রাজধানী পৌছতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বর্ষা মৌসুমে/বন্যার সময় নদী ভরাট থাকায় এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারের অভাবে সময়মত হাসপাতালে পৌছতে না পেরে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন অকালে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস