মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চিপসের প্যাকেট ১, ডাবের খোসা ও দইয়ের পাত্র ২ টাকায় কিনবে ডিএনসিসি সিরাজগঞ্জে গ্যাস লাইনের পাইপ স্থাপনের সময় মাটিচাপা পড়ল শ্রমিক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চুয়াডাঙ্গা-যশোরে স্বস্তির বৃষ্টি ১০ মে ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫.৭১ লাখ টন: মন্ত্রী চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন কেন, গভীরভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর লোডশেডিং আগের তুলনায় কমেছে, দাবি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক মহড়ার নির্দেশ পুতিনের চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডব : সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল ব্যাহত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক, নিজেরাই সবল হতে চায় প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাক্ষাৎ ধামরাই ঝড়ে টিনের চালা ভেঙে পড়ে দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হিলি দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মাঠে কাজ করছিলেন স্বামী, খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূ নিহত

‘চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর’ হত্যা করা হয় মেয়েটিকে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক তরুণীর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করার পর তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, চার দিন আগে চলন্ত বাসে দলবেঁধে ধর্ষণের পর ওই কলেজছাত্রীকে হত্যা করা হয়।
মধুপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হন ওই তরুণী।
ওই বাসের চালক, সুপারভাইজারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের রোমহর্ষক বিবরণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ওসি।
“তাদের মধ্যে তিনজন ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য তাদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে।”
নিহত রূপা খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি কোম্পানির প্রোমশনাল ডিভিশনে কাজ করছিলেন তিনি। তার কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ জেলা সদরে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় ওই তরুণীর লাশ পাওয়ার পর হত্যার আলামত থাকায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে মধুপুর পুলিশ।
কিন্তু পরিচয় জানতে না পারায় ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়।
গণমাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সোমবার রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
হাফিজুর বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে গত শুক্রবার বগুড়ায় যান তার বোন। পরীক্ষা শেষে এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ময়মনসিংহগামী ছোঁয়া পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩৯৬৩) বাসে ওঠেন।
ওই সহকর্মীর কর্মস্থল ঢাকায় হওয়ায় তিনি টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় নেমে যান। আর ওই বাসেই রূপার ময়মনসিংহে পৌঁছানোর কথা ছিল।
হাফিজুর বলেন, সঠিক সময়ে রূপা ময়মনসিংহে না পৌঁছানোয় সহকর্মীরা তার মোবাইলে ফোন করেন। এক যুবক ফোনটি ধরে বলেন, ফোনের মালিক ভুল করে সেটি ফেলে গেছেন। এরপর সংযোগ কেটে দেন। এরপর থেকেই ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
“এদিকে শনিবার সকালেও রূপা কর্মস্থলে না যাওয়ায় তার অফিস থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের কাছ থেকে রূপার নিখোঁজ থাকার কথা জানতে পেরে আমরা ময়মনসিংহ কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। পরে মধুপুরে একটি লাশ পাওয়ার খবর মিডিয়ায় দেখে আমরা থানায় যাই।”
মধুপুরের ওসি শফিকুল বলেন, রূপার পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর সোমবার রাতেই বাসের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন হাফিজুর।
“পরে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ থেকে ছোঁয়া পরিবহনের চালক, সুপারভাইজার, সহকারীসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায় তাদের কাছে। ছোঁয়া পরিবহনের বাসটিও জব্দ করা হয়।”
ওসি জানান, লাশ উদ্ধারের পর আলামত দেখে সন্দেহ হওয়ার কারণে অপমৃত্যুর মামলা না করে প্রথম দিনই পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছিল। বাসের কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেই সন্দেহেরই সত্যতা পান তারা।
“ওই পাঁচজনের মধ্যে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, কালিহাতী থেকে মধুপুর পর্যন্ত রাস্তায় চলন্ত বাসে পর্যায়ক্রমে রেপ করা হয় মেয়েটিকে।
“মেয়েটি তাদের বলেছিল, সঙ্গে যা টাকা পয়সা আছে, তা নিয়ে যেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে, মাথা থেঁতলে তাকে হত্যা করে বাসের কর্মচারীরা লাশ রাস্তায় ফেলে চলে যায়।”
তিনজনকে আদালতে পাঠিয়ে বাকি দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রাখার কথা জানালেও গ্রেপ্তার ওই পাঁচজনের নাম প্রকাশ করেনি ওসি।
তিনি বলেন, পরে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com