সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ১৮ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট পাস

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০১৭
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের ১৮ হাজার ৩৭০ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছে। বাজেট বরাদ্দের চেয়ে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অতিরিক্ত খরচ করায় আজ মঙ্গলবার (৬জুন) জাতীয় সংসদে এই সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছে। আগের অর্থবছরে (২০১৫-২০১৬) ৩৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অতিরিক্ত খরচের জন্য ১৯ হাজার ৮০৩ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছিল।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ-সম্পর্কিত নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০১৭ উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের মূল বাজেটে ৫৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। পরে তিনটি নতুন বিভাগ সৃষ্টি করা হয়। সংশোধিত বাজেটে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ১৮ হাজার ৩৭০ কোটি ২৩ লাখ টাকা বাড়লেও ৩৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ৭৩ হাজার ৫২১ কোটি ৫১ লাখ টাকা কমেছে। সার্বিকভাবে ২৩ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা কমে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা।
সাংসদেরা মোট ১৪৯টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে প্রতিরক্ষা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মঞ্জুরি দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। সম্পূরক বিলের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সাংসদদের দেওয়া ছাঁটাই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়। চলতি অর্থবছরের কাজের জন্য মন্ত্রণালয়গুলোকে সংযুক্ত তহবিল থেকে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়ায় তা অনুমোদনের জন্য সম্পূরক বিলটি পাস করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা বারবার বলা হয়েছে, ব্যাংকের আমানতকারীদের ওপর আবগারি শুল্ক। এটা নতুন কিছু নয়। সবাই দিচ্ছেনও। এবার হারটা কেবল একটু বাড়িয়েছি। বহু বছর ধরে এই কর গ্রাহকেরা দিয়ে যাচ্ছেন।’
টাকা পাচার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা পাচার বেআইনি। এটা বন্ধ করা কঠিন। তবে পাচারের সুযোগটা কমাতে পারি। কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি। আগামী মাসেই দেখতে পাবেন।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি নিয়ে আলোচনার সময় স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ১১টি নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেগুলো কী, জানানো হলে ভালো হতো। প্রতিরক্ষা বিভাগ আলাদা বা গোপন বিষয় নয়। এটাকে বারবার লুকিয়ে না রেখে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা উচিত।
এর জবাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে উন্নয়ন-অনুন্নয়ন সব খাতেই স্বচ্ছতা রক্ষা করা হচ্ছে। সংসদে প্রশ্নোত্তর ও পত্রিকার খবরের মাধ্যমে এসব আসছে। জেনেও না জানার ভান করলে সে দোষ মন্ত্রণালয়ের নয়।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দাবির ওপর পাঁচজন ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। তাঁদের প্রায় সবাই ঢাকায় প্লট দেওয়ার দাবি জানান।
পরে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর পক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, পাঁচজন বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁদের মূল কথা হলো ঢাকায় প্লট। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সম্পূরক বাজেট পাসের আগে গত দুদিনে মোট ১৫ জন সাংসদ আলোচনায় অংশ নেন।
আজ মঙ্গলবার সম্পূরক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সব টাকা খরচ করার পর সংসদে বৈধতা চাওয়া অনৈতিক। তিনি প্রশ্ন রাখেন, মানুষ কেন ব্যাংকে টাকা রাখবে? এক লাখ টাকা তিন মাস রাখলে ফেরত পাওয়া যাবে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা।

জাতীয় পার্টির হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর বলেন, ‘ব্যাংকে এক লাখ টাকা এক মাস রাখলে পুরো টাকা পাওয়া যাবে না—এটা যেভাবে প্রচার পেয়েছে, তাতে এই শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হলেও সরকারের যে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে তা পূরণ হবে কি না, প্রশ্ন আছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন এক লাখ টাকা যাদের আছে তাঁরা ধনী। এই বক্তব্য কতটুকু গ্রহণযোগ্য? সরকারের জন্য কতটুকু লাভ বয়ে আনবে দেখা দরকার। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বের সব ব্যাংকে চুরি হয়। কিন্তু আমাদের মতো সাগর চুরি হয় কি?’
জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম বলেন, ‘মানুষ এখন ব্যাংকে টাকা রাখতে চাইছে না। তাহলে কোথায় যাবে? মাটির নিচে? মাটির নিচেও প্রবলেম। মাটির নিচের সম্পদও সরকারের।’ তিনি আরও বলেন, ‘ নানা ভৌতিক প্রকল্পে মুড়িমুড়কির মতো টাকা বরাদ্দ হয়। প্রশ্ন করলে বলা হয়, ওরা উন্নয়ন চায় না। মেগা প্রকল্পগুলো মেগা জটে পড়েছে। আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই বছরেও এসব প্রকল্প শেষ হবে বলে মনে হয় না। পদ্মা সেতু ছাড়া অন্য প্রকল্পগুলোও চ্যালেঞ্জের মুখে।’

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com