সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

চলতি অর্থবছরে শেষ হচ্ছে না ১১৮ প্রকল্প

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য পূরণ করতে পারছে না মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। ১১৮টি প্রকল্প অসমাপ্ত রেখেই শেষ হতে চলেছে চলতি অর্থবছর (২০১৮-১৯)। সময়মতো প্রকল্প শেষ না হওয়ায় এর ফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ।

সূত্র জানায়, মূল এডিপিতে যেসব প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য ছিল তার মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ৪৩০টি এবং কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১৬টি। সংশোধিত এডিপিতে যেসব প্রকল্প শেষ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ৩২৮টি এবং কারিগরি সহায়তা প্রকল্প রয়েছে ১৭টি। এক্ষেত্রে ১০২টি বিনিয়োগ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অপরদিকে একটি কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের বাস্তবায়ন বেশি হবে।

এ প্রসঙ্গে আইএমইডির ভারপ্রাপ্ত সচিব আবুল মনসুর মো. ফায়েজ উল্লাহ বলেন, প্রকল্প সময়মতো শেষ না হলে সেটি থেকে যে ফল পাওয়ার কথা তা থেকে বঞ্চিত হয় জনগণ। এছাড়া প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এক কথায় সব দিক থেকেই ক্ষতি হয়। সার্বিক আর্থিক শৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটে। তবে নিবিড় পরিবীক্ষণ নিশ্চিত করা গেলে অনুমোদিত ব্যয় ও নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের আওতাভুক্ত অঙ্গগুলোর মানসম্মত ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন অনেকাংশে সহজ হবে।

যেসব প্রকল্প শেষ করা হবে সেগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্পটি অন্যতম। এটি ২০১৪ সালের জুলাইয়ে বাস্তবায়ন শুরু হয়। পরে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শেষ করার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু এর মধ্যে আবারও ৬ মাস মেয়াদ বাড়িয়ে জুন করা হয়। মোংলা বন্দর হতে পশুর চ্যানেল পর্যন্ত ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পটিও শেষ করার কথা জানিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে আরও দুটি প্রকল্প রয়েছে এ তালিকায়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের রুজভেল্ট জেটির বিদ্যমান অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মোংলা বন্দরের জন্য টাগবোট সংগ্রহ প্রকল্পটি। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেলওয়ে লাইন নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে প্রকল্প সংশোধন করায় সেটি সম্ভব হয়নি। অবশেষে জুনে সেটি সমাপ্ত করা হচ্ছে। লাকসাম এবং চিনকী আস্তানার মধ্যে ডাবল লাইন ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পটি ২০০৭ সাল থেকে গত বছরের অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। এর মাঝে দু’বার সংশোধনও করা হয়। এটি জুনের মধ্যে শেষ হবে।

বিদ্যুতের যেসব প্রকল্প শেষ করা হবে-

তা হল ১৩২ কেভি গ্রিড নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ইন ইস্টার্ন রিজিওন, আশুগঞ্জ-ভুলতা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ, বাংলাদেশ (ভেড়ামারা)-ভারত (বহরমপুর) বিদ্যমান গ্রিড আন্তঃসংযোগের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, বিবিয়ানায় তৃতীয় ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিকলবাহা ২২৫ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পল্লীবিদ্যুৎ সম্প্রসারণ ঢাকা বিভাগীয় কার্যক্রম-২, রাজশাহী-রংপুর বিভাগীয় কার্যক্রম-২, চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগীয় কার্যক্রম-২, খুলনা বিভাগীয় কার্যক্রম-২, বরিশাল বিভাগীয় কার্যক্রম-২ এবং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড এক্সপানশন অব ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক অব নর্থ অ্যান্ড সাউথ জোন আন্ডার ডিপিডিসি প্রকল্প।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে আইএমইডি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্প গ্রহণে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা না করে এবং ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট বিবেচনা না করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়ন করা হয়। ফলে পরে কাজের পরিধি বেড়ে যায়, এতে ব্যয় বৃদ্ধি পায়।

এতে আরও বলা হয়, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে মার্কেট অ্যানালাইসিস না করা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বিবেচনা না করেই প্রকল্প গ্রহণ, প্রকল্পের লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্কে পরিমাণগত ইউনিট বা সংখ্যা যথাযথভাবে প্রণয়ন না করা, বাস্তবায়নযোগ্য কর্ম পরিকল্পনা ও প্রকিউরমন্ট প্ল্যান তৈরি না করা, ঘন ঘন প্রকল্প পরিচালক বদলি বা একজন প্রকল্প পরিচালক একাধিক প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করাও ব্যয়বৃদ্ধি ও সময় লাগার কারণ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বারবার মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়ে বেড়ে যায় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে দরপত্রের রেট সিডিউল পরিবর্তন হয়ে যায় এবং প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়। এছাড়া নির্মাণ কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ নিবিড় মনিটরিংয়ের অভাব রয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com