বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী চরাঞ্চলের বসবাস করে। দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুফল চরবাসীদের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। চরাঞ্চলের মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতে আনা হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বগুড়া কর্তৃক আয়োজিত “চর উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র-এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেনষ্টিন এবং সিরডাপের মহাপরিচালক টেভিটা জি বসেওয়াকা টাগিনাভুলাও। অনুষ্ঠানে কী-নোট উপস্থাপন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বগুড়া-র মহাপরিচালক এম এ মতিন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের চরাঞ্চলে মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫ শতাংশ বাস করে। তারা সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। চরাঞ্চলের এ বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ¯্রােতে আনতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
মন্ত্রী জানান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সমন্বয়ে চর জীবিকায়ন কর্মসূচী (সিসিপি) এর মাধ্যমে ১০ টি জেলার ৩৩ টি উপজেলার ১২০ টি ইউনিয়নে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার পরিবারকে দারিদ্রমুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, চরাঞ্চলে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরন ও পর্যবেক্ষণের জন্য এলজিইডি-র মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর- এ ৫ টি সংস্থার সমন্বয়ে চরাঞ্চলে সরকারী প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পদ্মা, যমুনা ও তিস্তার চরাঞ্চলের প্রায় ৯ শত চরে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বাজারজাতকরণের জন্য সুইস উন্নয়ন ও সহযোগিতা এজেন্সী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (পদ্মা, যমুনা ও তিস্তার চরাঞ্চলের পণ্যের বাজারজাতকরণ) প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতাধীন চরাঞ্চলের টেকসই বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ১০ টি জেলায় ৯০ হাজার দরিদ্র পরিবারের আয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও জানান, চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত ‘একটি বাড়ী একটি খামার’ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বি করা হচ্ছে। তিনি সরকারী-বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় চরাঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ, গুণগত কৃষি উপকরণের ব্যবহার ও গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে একযোগে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
পরে মন্ত্রী সেমিনারের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বাংলা৭১নিউজ/বিকে