বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে এমপি ডাঙ্গী গ্রামের মেইন সড়ক ঘেষে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষন ৩শ মিটার বাঁধ প্রকল্প শুক্রবার সকালে প্রায় পুরোটাই ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।
উপজেলার উক্ত বাঁধ প্রকল্পটি ঘেষে পদ্মা নদীর পাড়ে গভীর পানি ছিল। এতে গত দু’মাস ধরে মালামালবাহী বিভিন্ন কার্গু পন্য উঠানামা করে বন্দর গড়ে তোলেছিল। শুক্রবার ভোররাতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা বাঁধ প্রকল্প এলাকা সহ প্রায় ৮০ ফিট চওড়া করে বড় বড় ফাটল নিয়ে একর পর এক মাঠী জমি পদ্মায় বিলীণ হয়ে যায়। এতে ফরিদপুর পাউবোর পদ্মা পারে গড়া প্রায় ৪ কোটি টাকার ভাঙন রোধ প্রকল্প বিলীন হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর পাউবোর বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ জহির উদ্দিন বলেন, “ওই এলাকার বাঁধটি ভেঙে যাওয়ারই কথা। কেননা প্রকল্পটি ছিল অস্থায়ী বাঁধ নির্মান প্রকল্প। প্রকল্পটি স্থায়ী বাঁধ নির্মান প্রকল্প ছিল না, কাজেই এ ব্যাপারে পত্রিকায় কিছু লেখালেখির দরকার নাই বলেও তিনি বলেন”।
জানা যায়, ভাঙনমুখী পদ্মা নদীর হুমকীর মুখ থেকে রক্ষার জন্য উপজেলা সদরে এমপি ডাঙ্গী গ্রামের মেইন সড়ক ঘেষে গত দুই বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মার তীর সংরক্ষন বাঁধ নির্মান করেন ফরিদপুর পাউবো। এ প্রকল্পে তিন দফায় মোট ২৬ হাজার ১৩০টি জিও ব্যাগ পদ্মা পারে ডাম্পিং করা হয়। চলতি শুস্ক মৌসুমে পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারনে উপজেলা পদ্মা নদীর উক্ত ভাঙন রোধ প্রকল্প ঘেষে গভীর পানিতে মালামাল বহনকারী কার্গু ভিড়ে বন্দর গড়েছিল।
সেখান থেকে ভারী ট্রাক ও লরী বোঝাই করে মালামাল জেলা শহর সহ বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করা হচ্ছিল। শুক্রবার বাঁধ এলাকা সহ মাঠী জমি পদ্মা নদীতে বিলীন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।
পদ্মা নদীর ভাঙন বাঁধের পাশের বসতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আঃ রাজ্জাক জানায়, “গত দু’মাস ধরে পদ্মা রক্ষা বাঁধ প্রকল্পটির উপর খুব জুলুম হচ্ছিল। বড় বড় কার্গুর মেশিনের ধাক্কার সাথে ট্রাক ও লরীর অবাধ বিচরনে বাঁধটি বিলীন হয়ে গেছে”। ওই গ্রামের আরেক বসতি আবুল খায়ের বলেন, “ দিনরাত কার্গু আর ট্রাকের অবাধ বিরচন দেখে আমরা প্রশাসনকে বার বার অবগত করেছি, কিন্ত প্রশাসন আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি”।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ বলেন, “ আমরা কয়েক দফায় পদ্মা নদীর ঘাট মালিককে ট্রাক চলাচল ও কার্গু বন্ধের জন্য নোটিশ করেছি, এমনকি ঘাট ইজারাদার বাবুল শিকদারকে ডেকে এনে নিষেধ করার পরও ট্রাক ও কার্গু চলাচল বন্ধ হয় নাই”।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস