রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেফতার ডুমুরিয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ৭ নদী জাপানে শক্তিশালী ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গতির বাসচাপায় নারী নিহত রোববার থেকে ফের তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি হতে পারে দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা: একজনের দায় স্বীকার, দুজনের রিমান্ড ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান: তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্র দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি : সিআইডি প্রধান গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক ৩ মাসে গ্রামীণফোনের আয় ৩৯৩২ কোটি টাকা, গ্রাহক বেড়েছে ১০ লাখ পাঁচদিনে সোনার দাম কমলো ৬৪৯৭ টাকা প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর ঢাকায় দিনে-দুপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ীর সর্বস্ব লুট বনানীতে যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় অনেককে শোকজ করা হয়েছে বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করতেন তারা

চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা টু, থ্রি, ফোর বানান না পারায় হতাশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ২৬১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, শাহরিয়ার শাকির, শেরপুর প্রতিনিধি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাাফিজুর রহমানকে ইংরেজিতে টু, থ্রি ও ফোর বানান বলতে পারল না তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।

শনিবার শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কদমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাাফিজুর রহমান ফিজার উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামে নতুন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন করে ফিরছিলেন। নালিতাবাড়ী শহরে ফেরার পথে হঠাৎ রাস্তার পাশে কদমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দেখে মন্ত্রীর গাড়িবহর থেমে যায়।
গাড়িবহরের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। তখন বিকেল পৌনে ৩টা। গাড়ি থেকে নেমে মন্ত্রী সোজা চলে যান বিদ্যালয়টির চতুর্থ শ্রেণির কক্ষে। সেখানে ছোট ছোট কিছু শিক্ষার্থীকে দেখে মন্ত্রীর সন্দেহ জাগে তারা আসলেই চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী কি না। এ সময় কর্তব্যরত শিক্ষক মন্ত্রীকে জানালেন, ওরা সবাই চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। মন্ত্রী তখন শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে ইংরেজিতে ‘ফোর’ বানান লিখতে বলেন।
কিন্তু কেউই ফোর বানান লিখতে না পারায় তাদের ফোর বানান বলতে বলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কেউই ফোর বানান বলতে পারেনি। তখন তিনি প্রধান শিক্ষককে ওই শ্রেণিকক্ষে ডাকেন।
তাঁকে ক্লাসের ফার্স্ট বয়, সেকেন্ড বয় কে জানতে চান। কিন্তু দেখা যায়, তারা দুজনের কেউই বিদ্যালয়ে উপস্থিত নেই। শিশুরা কেন বানান বলতে পারছে না, মন্ত্রী তা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, শিশুরা হয়তো ঘাবড়ে গেছে। মন্ত্রী তখন ক্ষোভের সঙ্গে ওই শ্রেণিশিক্ষকের কাছে তিনি কত বেতন পান জানতে চান। শিক্ষক তখন মন্ত্রীকে জানান, তিনি ২৬ হাজার টাকা বেতন পান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বেতন তো বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু আপনি শিশুদের কী শেখাচ্ছেন? তারা তো ফোরে পড়ে, অথচ ফোর বানান জানে না। ’ তখন কতজন শিক্ষক আছেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান পাঁচজন শিক্ষক আছেন।
এই সময় সেখানে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জনপ্রতিনিধি, কিন্তু এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না। এটা কী করে হয়, বলুন!’ কথা বলতে বলতেই মন্ত্রী ঢোকেন পাশের তৃতীয় শ্রেণির কক্ষে।
সেখানে তিনি এক ছাত্রকে থ্রি বানান ইংরেজিতে লিখতে বললে সে সেই বানান শুদ্ধভাবে ব্ল্যাকবোর্ডে লিখতে সক্ষম হয়। তার কাছে মন্ত্রী জানতে চান কে তাকে বাসায় পড়ায়। শিশুটি জানায় বাবা পড়ায়। পরে মন্ত্রী বলেন, ‘সে হয়তো মেধাবী, বাড়িতে ভালো যতœ পাচ্ছে।
এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কৃতিত্ব কতটা, দেখি একটু যাচাই করে। এই বলে মন্ত্রী ওই শ্রেণিকক্ষের অন্তত ১৫ জনের কাছে থ্রি ও টু-এর ইংরেজি বানান জানতে চান। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থীই সেই বানান বলতে পারেনি।
এই পর্যায়ে মন্ত্রী হতাশার সুরে বলেন, ‘আমরা মানসম্মত শিক্ষার কথা বললে কী হবে, মাঠপর্যায়ের চিত্র আসলে খুবই করুণ। এই বিদ্যালয়ের অবস্থা দেখে আমি খুবই মর্মাহত।
মন্ত্রী তখন ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি জানি না, আপনাদের কোথায় আসলে যাওয়া দরকার। কোথায় বদলি করা দরকার।
আমি কী বলব, আল্লাহ মালুম। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পরিচালক প্রশাসন সাবের হোসেন, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক এবং স্থানীয় প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ বলেন, কদমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা সত্য। আমি বিষয়টি শুনেছি।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com