রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমে উঠেছে ‘ইবনে আল-হাইসাম সায়েন্স ফেস্ট’ বিপ্লব বড়ুয়া-নদভীসহ ১৯৮ জনের নামে মামলা চিকিৎসকদের একফোঁটা রক্ত ঝরলেই স্বাস্থ্যসেবা বন্ধের হুমকি আসবেন না সারজিস আলম, চিকিৎসকদের ভুয়া ভুয়া স্লোগান টিএসসিতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার বিষয়ে যা বললেন প্রক্টর ‘মুজিব কোটে’ আগুন দিয়ে দল ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা টোলপ্লাজায় দুর্ঘটনা: সেই বাসের মালিক গ্রেফতার ৬ দিনে হিলি দিয়ে ভারত থেকে ১৬ হাজার টন চাল আমদানি যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক রমজানে কোনো পণ্যের ক্রাইসিস থাকবে না : ভোক্তার ডিজি ফখরুলের সঙ্গে আব্দুস সালাম পিন্টুর সাক্ষাৎ অস্থায়ী পাস নিয়ে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন ৩১ ডিসেম্বর নিয়ে যা বললেন আসিফ মাহমুদ প্রথমবারের মতো যে পরিবর্তন এলো বিসিএসে, আবেদন শুরু কাল থেকে অস্থায়ী পাস নিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন সাংবাদিকরা ৩১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক দল ঘোষণা করা হবে বিপিএলের পর্দা উঠছে আগামীকাল আগামীকাল থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা গোয়েন্দা সংস্থা সংস্কারের ঘােষণা দিলেন সিরিয়ার নতুন গোয়েন্দা প্রধান ৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণাপত্রটি লিখিত দলিল হবে: সারজিস

চট্টগ্রাম বন্দরে ভারত, ভুটান, নেপালের দরজা খোলা : আনন্দবাজার পত্রিকা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ১১ জুন, ২০১৭
  • ২৩৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: নয় নয় করে ১৩০-এ পা চট্টগ্রাম বন্দরের। সময়টা বড় কম নয়। বন্দরটাকে ব্রিটিশরা চোখের মণির মতো আগলে রাখত। তারা জানত, এমন বন্দর দক্ষিণ এশিয়ায় আর নেই। বন্দরটা থেকে বিশ্বের নানা দেশেই সহজ যোগাযোগ।

কলকাতা বন্দরকেও এত গুরুত্ব দেওয়া হত না। অবিভক্ত ভারতে দু’টি বন্দরের দিকে নজর ছিল। চট্টগ্রাম আর মুম্বই। চট্টগ্রাম বদলেছে। ডালপালায় প্রসারিত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে দক্ষতার সঙ্গে বন্দরের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর নির্দেশে নিরাপত্তা আর পরিবেশ রক্ষা করতে সবাইকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশে বন্দর এক নয় অনেক। মংলা, পায়রা, আশুগঞ্জ বন্দরের বিকাশ ঘটছে দ্রুত। চট্টগ্রামের চাপ কমানোর চেষ্টা। বিদেশি জাহাজ ভিড়ছে নতুন বন্দরে। চট্টগ্রাম আছে নিজের জায়গাতেই। প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে অর্থনৈতিক বিকাশে এগোতে চান হাসিনা। তিনি জানান- ভারত, ভুটান, নেপাল যাতে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

images এতে বাংলাদেশেরও উপার্জন বাড়বে, আবার প্রতিবেশীরাও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরও লাভবান হতে পারবে। বন্দর ব্যবহারের স্বার্থে তারা যে টাকা দেবে সেটাও বড় কম নয়। রাস্তাঘাট, ব্রিজ করে বন্দর এলাকা আরও সুন্দর করা হচ্ছে। কর্ণফুলি নদীর নীচ দিয়ে টানেলে নির্বিঘ্নে যোগাযোগ হবে এপার-ওপারে।

হাসিনা কোনও এলাকাকেই পিছিয়ে রাখতে চান না। সব অঞ্চলকেই বাঁধতে চান গভীর বন্ধুত্বে। নির্জন মহেশখালি দ্বীপটি এক পাশে পড়ে ছিল। বন্ধনমুক্ত, নির্বান্ধব অবস্থায়। হাসিনা তাকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে দিলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সেটাই নতুন ধাপ।

হাসিনা নিজের লক্ষ্য থেকে এক বিন্দুও নড়ছেন না। বাংলাদেশকে টেনে উপরে, আরও উপরে তোলার পণ। তাঁর কথায়, “২০২১-এর মধ্যে দেশকে ক্ষুধা আর দারিদ্রমুক্ত করব। ২০৪১-এ বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে।”

চট্টগ্রামে নৌঘাঁটিও রয়েছে। সেখানে আছে চিনের পাঠানো দু’টো সাবমেরিন। ঠিকঠাক প্রশিক্ষণে সেগুলো যাতে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টা হচ্ছে। হাসিনা স্মরণ করিয়ে দেন, মুক্তি যুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিকদের গৌরবজনক ভূমিকা ছিল। সেটা মনে রেখেই তাঁরা যেন কাজ করে যান।

চট্টগ্রামের সঙ্গে মহেশখালি দ্বীপটি নিয়েও ব্যস্ত হাসিনা। উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণে তাই সি টি’র সঙ্গে কাজ করছে আই ও, কেটি আর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। উন্নয়নে বরাদ্দ ২২ কোটি ৩৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা। কাজ শেষ করা হবে ২০১৮-র ৩০ জুনের মধ্যে। হাসিনা তনয় সজীব ওয়াজেদ জয় তদারক করছেন।

তিনি চান, দ্বীপটা জেগে উঠুক নতুন প্রাণে। মানুষ বসবাস করুক নিশ্চিন্তে। কাজটা অসম্ভব নয়। ঠিকঠাক কাজ এগোচ্ছে, পিছনে পিছিয়ে আসার শঙ্কাই নেই। সাধারণ নির্বাচনের আগে হাসিনা মহেশখালিকে স্বপ্নের দ্বীপে রূপান্তরিত করতে মরিয়া।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com