সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রাম মহানগরের পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় একটি লাগেজ থেকে খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় উক্ত ব্যাক্তির স্ত্রী ও সন্তানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) খণ্ডিত লাশের পরিচয় শনাক্তের পর তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পিবিআই সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে এক ব্যাক্তর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। উক্ত ব্যাক্তির নাম মো. হাসান (৬২)। তিনি বাঁশখালীর কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলি এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে।
পিবিআই জানায়, পরিচয় শনাক্তের পর শনিবার সকালে নগরের ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকায় একটি বস্তা থেকে মো. হাসানের শরীরের অবশিষ্ট অংশও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও সন্তান মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পিবিআই।
গ্রেপ্তারকৃত স্ত্রী-সন্তান পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে মো. হাসান দীর্ঘ ২৭ বছর আলাদা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। তবে এর আগে হাসানকে মৃত উল্লেখ করে সন্তান মোস্তাফিজুর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। তিনি ফিরে আসায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এর জেরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়কের জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও সন্তান মিলে তাকে খুন করেন। এরপর মরদেহ কেটে টুকরা টুকরা করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত হাসানের স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে পিবিআই জানিযেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ
