বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ম্যাকআর্থার হাইস্কুলে বাসায় তৈরি ঘড়ি নিয়ে যাওয়ার পর বোমা সন্দেহে গ্রেফতারের শিকার মুসলিম বালকের বাবার করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
দেশটির ফেডারেল বিচারক স্যাম লিন্ডসে বুধবার এ রায় দিয়ে বলেন, আহমেদ মুহামেদের সঙ্গে স্কুল কোনো বৈষম্য করেনি। শিক্ষকরা ভেবেছিলেন, আহমেদ বোমা বানিয়ে স্কুলে নিয়ে এসেছে। যে কারণে তারা পুলিশ ডেকেছিল। কাজেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না।
বোমা বানিয়ে স্কুলে নিয়ে এসেছে, শিক্ষক এমন সন্দেহ করে পুলিশ ডেকে তাকে গ্রেফতার করালে ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ১৪ বছর বয়সী কিশোর আহমেদ সারা পৃথিবীতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। এর পর সে ঘড়িবালক হিসেবে সর্বত্র পরিচিতি পেয়েছে।
অনেকে অভিযোগ করেন, মুসলিম বলেই তাকে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হতে হয়েছে।
আহমেদের বাবা মুহামেদ মুহামেদ বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা তার সন্তানকে জবরদস্তিমূলক চেয়ার থেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছে। তার ওপর বলপ্রয়োগ করা হয়েছিল।
সুদানি বংশোদ্ভূত আহমেদকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা করে, তার হাতের ছাপ নেয় এবং তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও ছবি তুলে রেখেছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, ওটি কোনো বোমা নয়, ঘরে বসে আহমেদ একটি ঘড়ি বানিয়েছিল।
আহমেদের বাবা ইরভিং নগর কর্তৃপক্ষ, টেক্সাস ও ইরভিং ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্টের বিরুদ্ধে পরে এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন।
বিচারক বলেন, মামলায় বাদী এমন কোনো ঘটনা নিয়ে আসতে পারেনি, যাতে স্কুলে তার বিরুদ্ধে বৈষম্য করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস