বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর পুন. ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু-এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসমূহে বাতাসের গতিবেগ ক্রমেই বাড়ছে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বেড়েছে।
মংলা ও চট্রগ্রাম বন্দর এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন উপকূলীয় জেলাগুলিতে সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রশাসন সতর্কাবস্তায় দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে আমাদের জেলা সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রাত ১২টার পর ঘূর্ণিঝড়েরর পরবর্তী অবস্থান জানানো হবে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
যাতে তারা স্বল্প সময়ের নির্দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এআর