বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ব্যাপক তাণ্ডব ঘটিয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে চট্টগ্রাম, ফেনী, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ভোলা ও পটুয়াখালীতে মারা গেছেন ২১ জন।
ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি- সিপিপি জানিয়েছে, বেলা সাড় ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে এটি প্রথমে বরগুনা উপকূল অতিক্রম করে। পরে ভোলা হয়ে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে যায়। ব্যাপক তাণ্ডব হয়েছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়, উপড়ে গেছে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি।
সিপিপির উপ-পরিচালক কিশোর কুমার সরকার জানিয়েছেন, উপকূল অতিক্রম করার সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে- বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিলো ৮০ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম কোরে ভারতের মিজোরামের দিকে গেছে। এটি এখন ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে সাত জেলায় মারা গেছেন ২১ জন। এখন পর্যন্ত, চট্টগ্রামে ১০, নোয়াখালীতে ৩, ভোলায় ৩, কক্সবাজারের ২, পটুয়াখালীতে ১, ফেনীতে ১ ও লক্ষ্মীপুরে ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, উপড়ে গেছে গাছপালা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপকূলীয় জেলাগুলো।
ঝড়ো হাওয়া ও টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উপকূলীয় অঞ্চলসহ, দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের জেলা। সীতাকুণ্ডে পাহাড়ধসে মারা গেছেন মা কাজল বেগম ও ছেলে বেলাল হোসেন। পাঁচলাইশে ঝড়ো বাতাসে মাথায় ইট পড়ে মারা গেছে রাকিব নামে এক শিশু। বাঁশখালিতে পানিতে ডুবে মারা গেছেন কৃষক মোহাম্মাদ ইদ্রিস।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে মারা গেছেন মা রুমি বেগম ও তার মেয়ে রোমানা বেগম। এছাড়া জাহাজমাড়ায় গৃহবধূ মাকসুদা বেগেমের মৃত্যু হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুই লাখ মানুষ।
ভোলায় তজুমদ্দিন ও দৌতখানে ঘরচাপায় মারা গেছেন রানু বিবি, রেখা বেগম ও আকরাম হোসেন। বিধ্বস্ত হয়েছে হাজারো ঘরবাড়ি। বেড়িবাধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম। মেঘনা নদীতে বালিভর্তি দুটি কার্গো ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন চার শ্রমিক।
কক্সবাজারে কতুবদিয়ায় ঘর্ণিঝড়ে মারা গেছেন কৃষক মোহাম্মাদ ইকবাল ও জেলে ফজলুল হক। লক্ষ্মীপুরের উত্তর তেওয়ারীগঞ্জে গাছ পড়ে ব্যবসায়ী আনার উল্লাহ নামে একজন মারা গেছেন।
পটুয়াখালীর দশমিনায় ঘর চাপায় মারা গেছে গৃহবধূ নয়া বিবি। বেড়িবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে ৩০ গ্রাম। দশমিনায় বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক কাঁচা বাড়ি ঘর। ফেনীর সোনগাজীতে পানিতে ডুবে মারা গেছেন রাখাল নুর আলম।
বাংলা৭১নিউজ/সৌজন্যে: ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি