বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বুধবার (২০ মে) সকাল থেকেই শিবচরে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ঝড়ো হাওয়া থাকলেও সকালের দিকে আকাশ বেশ পরিষ্কার ছিল। মাঝে মাঝে সূর্যের দেখাও মিলছে। তবে বাতাস অব্যাহত থাকায় পদ্মা নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন মাছ ধরার ট্রলারগুলো গতকাল মাঝ পদ্মায় ছিল। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে ঝড়ো বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় মাছ ধরার ট্রলারসহ অন্যান্য ছোট নৌকা-ট্রলার নিরাপদে ঘাটে নোঙর করে আছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নদীতে নামবে বলে জানিয়েছে চরাঞ্চলের জেলেরা।
এদিকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় আটকে আছে পণ্যবাহী পরিবহন। বুধবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে ঘাটে আসা সাধারণ মানুষদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে নৌযান বন্ধ থাকায় অনেকেই ফিরে যাচ্ছে।
কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত সোমবার থেকে এই নৌরুটে সীমিত আকারে তিন/চারটি ফেরি চলাচল করতো। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে দেশের অন্যান্য নৌরুটের মতো কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটেও বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল।
স্থানীয় জেলেদের সালে আলাপ করলে তারা জানান, ‘ভোর থেকে বাতাসের বেগ বেড়ে যাওয়ায় পদ্মা উত্তাল হয়ে উঠেছে। প্রচণ্ড ঢেউ রয়েছে পদ্মা নদীতে। এ জন্য এখন পর্যন্ত মাছ ধরতে কেউ যায়নি আমাদের। যদিও বৃষ্টি নেই। তবে থেমে থেমে বাতাস বাড়ছেই।’
বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম জানান, ‘বর্তমানে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। ঘাটে কিছু পরিবহন আটকে আছে। ঝড়ের গতিবিধির উপর নির্ভর করে পরবর্তী নির্দেশনা আসলে আবার চলাচল শুরু করবে।’
উল্লেখ্য, ঈদকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ছিল উপচে পড়া ভিড়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে গত সোমবার থেকে ফেরি চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয় মাদারীপুর জেলা প্রশাসন। জরুরি প্রয়োজনে ৩/৪টি ফেরি চালু রাখা হয়। তবে তাতে যাত্রী পারাপার নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে সীমিত আকারে চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ঘরমুখো মানুষেরা পদ্মা পার হতে না পেরে পরেছেন চরম বিপাকে। শিমুলিয়া প্রান্ত থেকে তাদের গত রাতে আবার ঢাকায় ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে ঘাটের একটি সূত্রে জানা গেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি