বাংলা৭১নিউজ,(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলীত মোটরসাইকেল চালককে আটক করে জোরপূর্বক টাকা নেওয়ার অভিযোগে বগুড়ার গাবতলী থানায় অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি সার্বিক) তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার এবং স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
এরা হলেন, থানার ওসি সাবের রেজা আহম্মেদ, বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মুসা এবং এএসআই নুর মোহাম্মদ।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২১ এপ্রিল বগুড়া জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়। এ অবস্থায় গত ২৬ এপ্রিল শাজাহানপুর উপজেলার বাসিন্দা হাশেম আলী মোটরসাইকেল যোগে গাবতলী থানাধীন বাগবাড়ী এলাকায় যান। সেখানে বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই নুর মোহাম্মদ মোটরসাইকেলসহ হাশেম আলীকে আটক করেন। পরে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে মোটরসাইকেলসহ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় ।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাবার পর বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার নির্দেশে গত ২৮ এপ্রিল এএসআই নুর মোহাম্মদকে বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগটির সত্য মিথ্যা যাচাই করার জন্য গাবতলী থানার অফিসার ইনচার্জ সাবের রেজা আহম্মেদকে নির্দেশ দেন বগুড়া পুলিশ সুপার মুহা আলী আশরাফ ভূঞা।
কিন্তু অভিযোগ তদন্তকালে ওসি সাবের রেজা আহম্মেদ এবং বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মূসা তদন্তের সকল নিয়ম নীতি ভঙ্গ এবং দায়িত্ব অবহেলা করে অভিযোগকারীর উপর চাপ সৃষ্টি করেন এবং তার সাথে অসদাচরন করেন। পরে বিষয়টি বগুড়ার পুলিশ সুপার অবগত হবার পরপরই ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে অপর দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করার আদেশ প্রদান করেন। তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ সদর ঢাকার এক আদেশে ওই তিন কর্মকর্তাকে খাগড়াছড়ি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নে বদলী করা হয় । ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করেছেন গাবতলী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি সাবিনা ইয়াসমিন।
বাংলা৭১নিউজ/এফএইচ