শরীর সুস্থ রাখার জন্য ঘুম অনেক জরুরি। ঘুম ভালো না হলে শরীর, মন কোনটাই ভালো লাগগে না সেই সঙ্গে কাজেও মনোযোগ আসবে না। রমজান মাসে আমাদের ঘুমের সময়ের কিছুটা ব্যাতিক্রম হয়। আর এর ফলে অনেকেই তাদের ঘুমের সার্কেল ঠিক করতে পারেন না। রমজানে ঘুম কম হলেও তা শরীরের উপর মারাত্বক প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘুম কম হলে কী কী সমস্যা হয় আর এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী।
মাথা ব্যাথা ও মুড সুইং:
আমাদের শরীর ২৪ ঘণ্টার একটি ছন্দ বজায় রেখে চলে। আমাদের ঘুমের ধরণে হঠ্যাৎ করে যেকোন পরিবর্তন এই ছন্দকে ব্যাহত করতে পারে। আর এর ফলে মাথা ব্যাথা, মেজাজ পরিবর্তনের মত সমস্যা দেখা দেয়। কারো কারো ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের সমস্যাকে আরো তীব্র করে তোলে।
চিন্তাশক্তিতে বাধা:
যথাযথ ঘুম বা বিশ্রাম নেওয়া আমাদের পরিষ্কারভাবে চিন্তা করতে, আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের জন্য কোন কিছুতে মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আস্তে আস্তে আমাদের সৃজনশীল ক্ষমতাও হ্রাস পায়।
ওজন বৃদ্ধি:
ঘুম কম হলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে যে হরমোন তাতে পরিবর্তন আসে। আর ঘুমের ঘাটতি হলেই ফাস্ট ফুড, ফ্যাটি ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।
রমজানে ভালো ঘুমের টিপস:
একটানা ঘুমের চেষ্টা করুন:
পর্যাপ্ত বিশ্রামের জন্য একাধিক সংক্ষিপ্ত নেপের তুলনায় দীর্ঘ ঘুম বেশি জরুরি। ইফতারের পরে ও সেহেরির আগে রাতে কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন তারপর ফজরের পর কয়েক ঘণ্টা ঘুমানোর পর আপনার দিন শুরু করুন।
ঘুমের প্যাটার্ন ঠিক করা:
রমজানে প্রথম কয়েক দিন সমস্যা হলেও আস্তে আস্তে ঘুমের প্যাটার্ন ঠিক করুন। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন ঘুমানোর। এতে করে শরীর ভালো থাকবে।
হালকা ন্যাপ নেওয়ার চেষ্টা করুন:
বিকালে হালকা ২০ মিনিট ন্যাপ নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে সারাদিন রোজা রেখে শরীরের ক্লান্তি অনেকটা চলে যাবে। তবে ২০ মিনিটের বেশি ঘুমাবেন না। তাতে শরীর আরো বেশি খারাপ লাগতে পারে।
ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া:
সারাদিন পর ইফতারে বেশি ভারি খাবার এড়িয়ে চলুন। সেই সাথে অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার ও এড়িয়ে চলুন। কারণ বেশি ঝালযুক্ত খাবার অ্যাসিডিটর সমস্যা করতে পারে আর এ কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।
ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ:
অন্ধকার জায়গা ঘুমের জন্য উত্তম। ঘুমের সময় ইলেকট্রনিক ডিভাইস দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়া টিভি রয়েছে এমন ঘরে ঘুমাবেন না।
বাংলা৭১নিউজ/এএস