পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রমানিক (৩২) নামের এক ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৮ মে) রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার পৌর সদরের রুপনগর গলিতে (মাহাতাব কলোনী ) এ ঘটনা ঘটে।
নিজ শয়নকক্ষে বিছানার ওপর তার মরদেহ পড়েছিল। এদিকে পাশে থাকলেও স্ত্রী মীম খাতুন (১৯) তাকে বাঁচাতে পারেননি। তিনি দাবি করছেন, তার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে চলে গেছেন দুর্বৃত্তরা।
তবে নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা অভিযোগের তীর স্ত্রী মীমের দিকেই নিক্ষেপ করছেন।
পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ মীমকে আটক করেছে। তবে এ ঘটনা সম্পর্কে তারা এখনও নিশ্চিত নন।
নিহত শাকিল ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুর দুবলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। তিনি ঈশ্বরদী বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
নিহতের মামা মুলাডুলির ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার তারা মালিথা জানান, ১০ দিন আগে স্ত্রীসহ কলেজ রোডের মিকদাদ ম্যানসন নামের একটি ভাড়াবাসায় ওঠেন শাকিল। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাতে শাকিলের স্ত্রী ফোন করে তাকে জানায়, ‘শাকিলের কিছু হয়েছে, তিনি কথা বলছেন না’। তখন বাড়িওয়ালার সহযোগিতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য মীমকে বলেন।
বাড়ির মালিক আহসান হাবিব বলেন, ভবনের দ্বিতীয় তলায় কান্নার আওয়াজ শুনে সেখানে গিয়ে দেখেন শাকিল বিছানায় শোয়া অবস্থায় রয়েছেন। আর মীম সামনে বসে কান্না করছেন। কিন্তু শাকিলের কোনো সাড়া শব্দ না থাকায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, তখন মিম খাতুন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘চার-পাঁচজন এসে শাকিলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে চলে গেছে। বাধা দিলে আমাকেও লাথি মেরেছে।’
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতের পরনের পাঞ্জাবি ছেঁড়া ছিল।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে রহস্যে থাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) খবর দেয়া হয়। শনিবার (২৯ মে) দুপুরে সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা আসেন। সিরাজগঞ্জ থেকে সিআইডির বিশেষ দল এসে আলামত সংগ্রহ করেন। এরপর দুপুরেই মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) ফিরোজ কবীর জানান, তিনি ঘটনাস্থলে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিলেন। তারা নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জিকে