রংপুরের কাউনিয়ায় সাইদুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের আজম খাঁ গ্রামে ঘরের মেঝে খুঁড়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাইদুলের চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম (৩০) ও তার স্ত্রী বুলবুলি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
রফিকুল ওই গ্রামের হারেস উদ্দিনের ছেলে এবং নিহত সাইদুল একই গ্রামের অজিমুদ্দিনের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি সাইদুল। শনিবার সকালে রফিকুলের বাড়ির পাশে একটি ভুট্টাক্ষেতে রক্তমাখা কোদাল ও রক্তের দাগ দেখতে পেরে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তের দাগ অনুসরণ করে রফিকুলের ছোট ভাইয়ের ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা সাইদুলের মরদেহ উদ্ধার করে।’
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক রফিকুলের বরাত দিয়ে ওসি জানান, রফিকুলের স্ত্রী বুলবুলি বেগমকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন সাইদুল। এ বিষয়ে কয়েকবার নিষেধ করা হলেও তিনি মানেননি। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি ফিরে ঘরের পেছনে সাইদুলকে দেখতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রফিকুল।
এসময় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সাইদুলকে পাশের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে দা দিয়ে ঘাড়ে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাইদুল। পরে মরদেহ নিয়ে এসে রফিকুল তার ঢাকায় অবস্থানরত ছোট ভাইয়ের ঘরের মেঝে খুঁড়ে পুঁতে রাখেন।
ওসি আরও জানান, চার থেকে পাঁচ বছর আগে জমির আইল নিয়ে নিহত সাইদুলের সঙ্গে রফিকুলের হাতাহাতি হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ রফিকুল ও তার স্ত্রী বুলবুলি বেগমকে আটক করেছে। সব দিক বিবেচনা করে তদন্ত চলছে।
রংপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিতেন বলে রফিকুল যে দাবি করছেন তা প্রকৃত কারণ নাও হতে পারে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কোনো বিষয় জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে