বিশ্বে মাংসাশী প্রাণীর খাবার তৈরিতে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ হয়। এক বিজ্ঞানী এবার প্রাণির জন্য কৃত্রিম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার তৈরির চেষ্টা করেছেন গ্রিন হাউজ গ্যাস থেকে। হয়েছেন সফলও। বায়োটেক ফার্ম ডিপ ব্রাঞ্চের প্রধান নির্বাহী রোয়ি এবং তার দলের অন্য গবেষকরা। চেষ্টা করছেন গাঁজন পদ্ধতিতে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ব্যবহার করে প্রাণী খাবার তৈরির। যেকোনো উদ্ভিদ থেকে সংগ্রহ করছেন প্রয়োজনীয় মিথেন, ইথানল, চিনি এমনকি কাঠ।
রিঅ্যাক্ট ফার্স্ট প্রকল্পে ব্রিটেন ৩০ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে। বিজ্ঞানীরা এ তহবিল ব্যবহার করে প্রাণী খাদ্য উৎপাদনে কার্বন নিঃসরণ কমাতে কাজ করছে। ডিপ ব্রাঞ্চের সঙ্গে কাজ করছে ব্রিটেনের বৃহত্তম জ্বালানি কোম্পানি ড্র্যাক্স, সুপারমার্কেট সেইন্সবারি। ফার্মটি প্রস্তুত করছে প্রোটন নামের হাই প্রোটিন প্রাণী খাদ্য। গাঁজন পদ্ধতিতে ব্যাকটেরিয়া ছত্রাককে খাওয়ানো হয় কার্বন ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন, গ্যাসগুলো তৈরি হয় বিদ্যুৎ ও পানির সাহায্যে। এরপর তৈরি হয় প্রোটন প্রোটিন।
এ প্রক্রিয়ায় খরচ পড়ছে অনেক বেশি। কিন্তু কমছে পরিবেশ দূষণ। প্রাণিজ খাবার উৎপাদনে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমছে কার্বন নিঃসরণ। এ প্রক্রিয়ায় তৈরি খাবার বছরে ১০ হাজার টন খাবারের উৎপাদন খরচ কমাবে। সিঙ্গেল সেল প্রোটিনি সমৃদ্ধ খাবার মানুষের জন্য নিরাপদ কিনা, সেটি নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
সাধারণত মুরগি আর সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবারের প্রয়োজন হয়। যেগুলোর যোগান দিতে বেশিরভাগ সময় বনাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। আফ্রিকা আর দক্ষিণ আমেরিকা থেকে প্রাণীদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার তৈরি করে সারা বিশ্বে রফতানি করা হয়। যেখানে সার প্রয়োগ করতে হয়, কৃষি যন্ত্রপাতিরি ব্যবহার হয়। অনেক দূরে জাহাজে করে সরবরাহ করা হয়। যেখান থেকে অনেক বেশি কার্বন নিঃসরণ হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এআরকে