বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে পুরান ঢাকার বকশীবাজার অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এ আদেশ দেন।
এ দিন মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ শুনানির পেছানোর আবেদন করেন। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধীতা করেন।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। তাই দীর্ঘ সময় না দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে মামলাটির চার্জ গঠন করা হোক। খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। তাকে আদালতে জারির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন তিনি।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে জারি করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করে আগামী ১৬ জানুয়ারি মামলার চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এসব তথ্য জানান। জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। রিট আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নিন্ম আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ প্রাক্তন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
উল্লেখ থাকে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ