সিরিয়ার ১৩ বছর ধরের গৃহযুদ্ধের সময় সরকারী বাহিনীর হাতে কয়েক লাখ সিরিয়ান নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, রহস্যময় কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতন ও গণ মৃত্যুদণ্ডের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার নতুন প্রধান শনিবার ক্ষমতাচ্যুত আসাদের শাসনের অধীনে থাকা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
দেশটির নতুন নেতৃত্ব পদে নিযুক্ত হওয়ার দুই দিন পর আনাস খাত্তাব বলেন, সমস্ত পুরোনো নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা ভেঙে দেওয়া হবে। আমাদের জনগণের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হয় এভাবে গোয়েন্দা সংস্থা সংস্কার করা হবে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
সরকারী সানা বার্তা সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়, আসাদ সরকারের নিপীড়ন অত্যাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা দুর্নীতির বীজ বপন করেছিল এবং জনগণের উপর অত্যাচার চালিয়েছিল।
আসাদের পতনের পর ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কর্মকর্তা ও এজেন্টরা পালিয়ে যাওয়ার পর কারাগারগুলো খালি করা হয়।
দামেস্কে ক্ষমতা দখলকারী সশস্ত্র জোটের নেতৃত্বদানকারী ইসলামপন্থি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) যোদ্ধারা এখন এই স্থাপনাগুলো বেশিরভাগই পাহারা দিচ্ছে।
৮ ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে ১৩ বছরের বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। এ সময় নিখোঁজ হওয়া আত্মীয় এবং বন্ধুদের সন্ধানের আশায় অসংখ্য সিরিয়ান কারাগার ও বন্দি কেন্দ্রে ছুটে গেছেন।
এদিকে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, বাথ শাসনামলে নিখোঁজ হওয়া ১ লাখের বেশি সিরিয়ানের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মানবাধিকার সংস্থাটির ডাটাবেসে প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার ব্যক্তির রেকর্ড রয়েছে। যারা বাথ শাসনামলে আটক বা জোরপূর্বক নিখোঁজ হয়েছে। সংস্থাটি সরকার পতনের পর থেকে প্রায় ২৪ হাজার বন্দিকে সিরিয়া জুড়ে বন্দি থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ