বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন চালু হবে এ মাসেই সাবেক সেনা সদস্য হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন ইতা‌লি ভিসাপ্রার্থীদের যে বার্তা দি‌লেন পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা ময়মনসিংহে ‘চাঁদাবাজ’ রানাসহ ৬ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার নিরাপদ খাদ্য পেতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে হবে ছয়দিন বন্ধ থাকবে সোনামসজিদ স্থলবন্দর টি-টোয়েন্টি থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর ঘোষণা শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানালেন ছেলে জয় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৪ জনের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্যের পদত্যাগ জামিন পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী, কারামুক্তিতে বাধা নেই বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মিলার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে: ড. ইফতেখারুজ্জামান শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসারদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স শুরু দুর্গাপূজার ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন মন্ত্রী-এমপিরা কার ইঙ্গিতে পালালো তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন: ফারুক মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনেই চলবে হেলিকপ্টার! তাপসী তাবাসসুমকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ নেত্রকোণায় লাখ মানুষ পানিবন্দি, এক মৃত্যু আন্দোলন দমাতে অস্ত্র ব্যবহার, যুবলীগ কর্মী আরাফাত গ্রেপ্তার

গোদাগাড়ী উপজেলায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট, লাগামহী মূল্য বৃদ্ধি 

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা৭১নিউজ,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার  সর্বত্র তীব্র গো-খাদ্যের সঙ্কট চরমভাবে দেখা দেয়ায় মহাবিপাকে পড়েছেন কৃষক। গরু খামারীরা পড়েছে চরম বিপাকে। অনেকে কম দামে গবাদি পশু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। গো-খাদ্যের সংগ্রহের জন্য তারা হন্যে হয়ে ঘুরছেন।একদিকে গো-খাদ্য সঙ্কট, তার ওপর এ খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা।
অনেকে খড়ের অভাবে অন্যান্য খাদ্য খাওয়ানোর জন্য গরুর রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে গবাদি পশু পালনকারীরা দু’চোখে সর্ষের ফুল দেখছে। ফলে মূল্যবৃদ্ধি চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে। বর্তমানে আগাম জাতের পরিজা কিংবা খাট আটাশ ধানের চারা (খড়) প্রতি হাজার বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা জমি থেকে পোয়াল বিক্রি হচ্ছে  প্রতি বিঘা ১৮শ থেকে ২১ টাকায়। পুরাতন চারা বিক্রি হচ্ছে  প্রতি হাজার সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায়।
এত উচ্চ মূল্যে খড়ের গাদা প্রান্তিক কৃষকদের পক্ষে ক্রয় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সামর্থবান কৃষকেরা উচ্চমূল্যে খড় কিনতে সক্ষম হলেও দরিদ্রের পক্ষে তা কোন ক্রমেই সম্ভবপর হচ্ছে না। বন্যা, করোনাএবং বৃষ্টি বাদলের জন্য যথাসময়ে কৃষকেরা তাদের ইরি-বোরো চাষকরা ধানের খড় সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ বছর খড়ের দাম সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। সোমবার গোদাগাড়ী পৌরসভার বিভিন্ন জমিতে দেখা গেছে, জমির খড় ( পোয়াল)  চড়া মূল্যে ক্রয় করে রোদ্রে সুখাচ্চেন।
গোদাগাড়ী পৌর এলাকার গরু ব্যবসায়ী লোকমান বলেন, ২ বিঘার জমির খড় বা পোয়াল ৪ হাজার টাকায় ক্রয় করে রোদ্রে সুখিয়ে পালা করে রাখলাম গরুর খাবারের জন্য। গরুর খাবারের আকাল এর আগে আমি দেখি নাই।এলাকার কৃষক আব্দুল মাতিন জানান,  চলতি বছর ইরি-বোরো মৌসুমে লাগাতার বৃষ্টিপাত ঘটায় কৃষকেরা তাদের চাহিদা মোতাবেক কাঙ্খিত ধানের খড় শুকাতে ব্যর্থ হয়। সে সাথে সিরাজগজ্ঞ, পাবনা, বগুড়া চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার গরু ব্যবসায়ীরা খড়  ট্রাক বোঝায় করে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক ধানের খড় পচে নষ্ট হয়ে পড়ে। ফলে গো-খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। সেই সাথে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খড়ের মূল্য দিগুণ বেড়েছে।
গোদাগাড়ী  উপজেলার প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা সুব্রত সরকার জানান, এ উপজেলায়  খড়ের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনও হয়েছে।  কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয় নি। তার অন্যান্য জেলায় খড়ের চাহিদা থাকায় এ উপজেলা থেকে চড়া খড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৮ টাকা কেজি খৈল বিক্রি হচ্ছে ৩৬।৩৭ টাকা, ১৬ টাকার কালায়ের ভুসি ২০ টাকা কেজি, ২০ টাকা কেজি গমের ভূসি ৩২ টাকা, সাড়ে ৪ টাকার গুড়ার বস্তা  সাড়ে ৬ টাকায়   বিক্রি হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/আরকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com