বাংলা৭১নিউজ,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ড্রাগণ চাষে কৃষকেরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, আগামীতে এ বরেন্দ্রের পোড়া মাটিতে ড্রাগণ চাষ বেশী পরিমান জমিতে চাষ করা হবে, বরেন্দ্র এলাকার মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগণ চাষের জন্য উপযোগি, দীর্ঘ সময় ফল দেয়, উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় ১০ বিঘাসহ ১৫ বিঘা জমিতে ড্রাগণ চাষ হয়েছে বলে জানান, গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম।
রাজশাহী চাঁপাই নবাবগজ্ঞ মহানগরী সড়কে দিয়ে আসা যাওয়ার পথে পড়ে বসন্তপুর এলাকায় এক সুন্দর মনোরম পরিবেশে প্রায় ১০ বিঘা এলাকা জুড়ে মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম হেলাল গড়ে তুলেছেন ড্রাগণ বাগান। ওই বাগানে স্থান পেয়েছে বিরল প্রজাতির এ্যাভোগ্যাডো ফলের গাছ গুলি। বাগানটি দেখে মনে যেন তপ্ত বরেন্দ্রভূমির বুকে মন ভালো করে দেয়া দৃষ্টি সুখকর একখন্ড আশাজাগানিয়া সবুজ গালিচা” যে কারই মন কেড়ে নিতে পারে। অত্যান্ত প্রিয় ও অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যাক্তিত্ব স্বপ্নবাজ হেদায়েতুল ইসলাম হেলাল তার স্বপ্নের ড্রাগণ বাগানটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির পরিচর্যা ও হার্দিক ভালোবাসায় এবং প্রকৃতির বদন্যতায় তর তর করে বেড়ে উঠছে ড্রাগন ও এ্যাভোগ্যাডো ফলের গাছগুলো। কৈশর ও তারুণ্য পেরিয়ে ড্রাগন গাছগুলো এখন যৌবনে পদার্পণ করায় ফুল এসে গেছে! মাত্র কয় দিন পরেই ফলবতী হয়ে সৃষ্টি সুখের তৃপ্তিময় হাসি ছড়িয়ে দেবে প্রকল্পের সদস্যদের মুখে। এ বাগানের বিশেষত্ব হলো এখানে কর্মরত প্রতিটি কর্মীই তাদের দায়িত্ব ও কর্মের প্রতি ভীষণ আন্তরিক, যেন প্রতেক্যেই মনের আনন্দে কাজ করে চলেছে ক্লান্তিহীনভাবে!এর অন্তর্নিহিত কারণ হল তারা প্রত্যেকে শ্রমিক না ভেবে নিজেদের কে স্বপ্ন বাস্তবায়ন প্রজেক্টের এক একজন অংশীদারভাবে।
এ ব্যপারে ধারাভাষ্যকার, সমাজসেব, শিক্ষক শিরাজি ফেরদৌস ইমন এ প্রতিবেদকে বলেন, আমি বাগানটিতে গিয়ে ছিলাম আমার খুব ভাল লেগেছে, যে যাবে তারই ভাল লাগবে। যতক্ষণ ছিলাম আশ্চর্য মুগ্ধতায় শুনছিলাম মালিক হেলাল সাহেবের সৃজনশীল সুন্দর স্বপ্ন, সম্ভাবোনা, অসম্ভব কে সম্ভব করার দারুন সব পরিকল্পনা, নতুন কিছু করার উদগ্র বাসনা আর সর্বোপরি সমাজের পরিশ্রম প্রিয় মানুষগুলোর জন্য এক সম্ভাবনাময় কর্মক্ষেত্রের দরজা খুলে দেয়ার ইচ্ছের গল্পটা। হেদায়েতুল ইসলাম হেলাল বলেন, গোদাগাড়ীর মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগণ ফল চাষের জন্য উপযোগী, এ এলাকায় এটা নতুন, সেচ কম লাগে, রোগ বালাই, পোঁকার আক্রমন কম হয়, দীর্ঘসময় ফল পাওয়া, অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশী লাভবান হওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, আমার মায়ের হাতেও লাগানো ড্রাগণ গাছ রয়েছে। উনার দুয়ায় আমরা সফল, আমি আশা করি আগামীতে আমাকে অনুসরণ করে বরেন্দ্র এলাকায় ড্রাগণ ফল চাষে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে ইনসাল্লাহ। যা যোগ হবে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে। কৃষকদের করোনা ভাইরাসে ক্ষয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায়ক হবে ড্রাগণ চাষ।
বাংলা৭১নিউজ/এফএস