বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শিশু কিডনী চিকিৎসক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হলেন ডা. আফরোজা বেগম ইসলামী ব্যাংকের কর্পোরেট উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রয় সম্পন্ন ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন ডিফেন্স করা দরকার ছিল তখন ওরা মারতে গেছে, কী আর বলবো ‘প্রত্যয় স্কিমের নামে শিক্ষকদের অনাহারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার’ চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসির আদেশ ২৪৬ কোটি টাকায় ৪০ টন ডিএপি সার কিনবে সরকার ডিএমপিতে আট কর্মকর্তাকে পদায়ন টাঙ্গাইলে দাঁড়ি‌য়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, সুপারভাইজারসহ নিহত ২ ‘আপত্তিকর’ খবর প্রকাশ, তীব্র প্রতিবাদ তাসকিনের সমুদ্র সম্পদের সঠিক ব্যবহারে গুরুত্ব দিলেন স্পিকার সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মৌলভীবাজারে নদ-নদীর পানি বাড়ছে, ঝুঁকিতে বাঁধের ১১ স্থান ‘জি-ব্রেইন’ উদ্বোধন, এআই আইনের খসড়া সেপ্টেম্বরে চা ওয়ালা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ছটফট করছে কংগ্রেস : মোদি দুপুরের মধ্যে যে ১৭ অঞ্চলে ঝড় হতে পারে অবৈধ সম্পদ : স্ত্রীসহ রাজউক পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ হাজি কলম্বিয়ার সঙ্গে ড্র করে কোপার কোয়ার্টারে ব্রাজিল ড. ইউনূসের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

গোদাগাড়ীতে কৃষকের মলিন মুখ, ধান নিয়ে আশঙ্কা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ১১ মে, ২০১৯
  • ২০৩ বার পড়া হয়েছে

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) থেকে মো: হায়দার আলী: বোরো চাষিদের মুখে হাসি নেই। বাম্পার ফলন হচ্ছে না।  বোরো ধানের ন্যায্য মূল্য নেই। ফনির আঘাতে ধান গাছ মাটিতে পড়ে যায়, দু’দফা শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়া বিরাজ   করায় তড়িঘড়ি করে ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করায় ব্যর্থ হচ্ছেন।

এদিকে স্থানীয় ফড়িয়া চক্র মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনছে মন  প্রতি মন ৬৫০ টাকা হতে ৬৭০ টাকা দরে। আর একজন কৃষকের ধান কাটার জন্য শ্রমিকের পিছনে খরচ হচ্ছে দৈনিক ৬৮০ টাকা।  কিংবা ৪/৫ আড়ি ধান মজুরি দিয়ে ধান কাটাই কৃষককে আরও বেশী মুজরী গুনতে হচ্ছে। অর্থাৎ কৃষাণের মজুরি একমণ ধানের চেয়েও বেশি।

চাষীরা জানান  ধান রোপণ, পরিচর্যা, সার-কৃষাণ ও ধান মাড়াইসহ ধান ঘরে তুলতে খরচ করেছে। এতে করে অধিকাংশ কৃষক দেনায় জড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন। অনেক কৃষক এখনই দেনায় জর্জরিত। রেলগেট এলাকার ধানের আড়ৎদার উজ্জল বলেন, ভাল আটাশ ধান হলে ৬৭০ টাকা মন ক্রয় করবেন আর মান খারাপ হলে ৬০০ নীচে কিনবেন বলে জানান।

সরকার নির্ধারণ করেছে,  প্রতি কেজি চাল ৩৬ টাকা, গম ২৮ টাকা ও ধান ২৬ টাকা। এ হিসেবে ধানের মণ ১০৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা মধ্যসত্ত্বভোগীদের কারণে এ দাম পাচ্ছে না। সরকারি চাল কে বা কারা কোথা থেকে ক্রয় করে তা সাধারণ কৃষকরা জানেন না। জানলেও ফড়িয়াদের কারণে ওই পর্যন্ত  পৌঁছাতে পারেন না কৃষকরা।

একশ্রেণীর প্রভাবশালী কুচক্রীমহল প্রতিবছর ভারত থেকে নিন্মমানের পচা গম আমদানি করে রাতের আধারে খাদ্যগুদাম ভর্তি করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ, তার পর বটবৃক্ষ হয়েছেন। দেখার যেন কেউ নেই দেমা খেয়ে বাঁচি কৃষক মরুক আর বাঁচুক এতে কিছু আসে যায় না।

ভাজনপুর এলাকার কৃষক দুলুদেব বলেন, ধানের ফলন কম দামও পাচ্ছি না। ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। লাভের মুখ দেখা নিয়ে সংশয় প্রকাাশ করে তিনি বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস শুনে তড়িঘড়ি করে ধান কেটে ঘরে তুলতে হচ্ছে। এ সুযোগে কৃষাণরা তাদের মজুরি বেশি নিচ্ছে। একজন কৃষাণের দৈনিক মজুরি ৬/৭শ টাকা। এ টাকা খরচ করে ধান ঘরে তুললেও ন্যায্য দাম পাওয়া যাচ্ছে না। এতে করে লাভের পরিবর্তে লোকসানের বোঝা বইতে হবে বলে আশঙ্কা করছি।

গোদাগাড়ী উপজেলার  বিজড়া মৌজার কৃষক মামুন জানান, ৮ বিঘা জমিতে ইরি রোরো ধান চাষ করতে সব খরচ মিলে ৭২ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন। বর্তমান ধানের বাজার ৬৪০ থেকে ৬৭০ টাকা ফলে উৎপাদন ব্যয় উড়তে মন প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ক্ষতি হচ্ছে।

কৃষক যেন নায্যমূল্য পান এই দাবি জানান কৃষক আব্দুল মামুন।

বাংলা৭১নিউজ/এসই

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com