গানটির দৈর্ঘ্য মাত্র ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ড। অথচ স্বল্প দৈর্ঘ্য এই গানটিই মাতিয়ে তুলেছে গোটা বিশ্বকে। ইতোমধ্যে শিশুতোষ এই ছড়াগানের ভিউ ছাড়য়ে গেছে সারা বিশ্বের জনসংখ্যাকেও।
‘বেবি শার্ক নামের এই ছড়াগানটি প্রায় অর্থহীন বলেই মনে হয়। অথচ এই গানই পাল্লা দিয়েছে পৃথিবীর নামীদামি শিল্পী, মিউজিক কম্পোজার, কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
গত বছর নভেম্বর মাসে ইউটিউবের সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিও হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘বেবি শার্ক’। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসে গানটির ‘ভিউ’ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৭০ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি।
‘ভিউ’–এর বিচারে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লুইস ফনসি ও ড্যাডি ইয়াঙ্কির গান—দেসপাসিতো (৭৩০ কোটি)।
বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় বেবি শার্ক গানটির অসংখ্য সংস্করণ রয়েছে। তবে ৮ দশমিক ৭ বিলিয়নের মাইলফলক ছুঁয়েছে যে ভিডিওটি, সেটি পাবেন পিংকফং-এর ইউটিউব চ্যানেলে। পিংকফং মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্মার্টস্টাডির একটি ব্র্যান্ড।
পিংকফং বেবি শার্ক গানটির একটি অ্যানিমেশনভিত্তিক সংস্করণ ইউটিউবে আপলোড করেছিল ২০১৫ সালে শুরুতে। ২০১৬ সালে তারা নতুন করে গানটির অডিও ও ভিডিও ধারণ করে। দুটি বাচ্চা ছেলে-মেয়ের সহজ নাচের ভঙ্গি, ঝলমলে রং, কিংবা গানের কম্পোজিশন, যে কারণেই হোক, বাচ্চারা এই সংস্করণটি পছন্দ করে ফেলে। আর তাতেই বাজিমাত। প্রতি মুহূর্তে বাড়তে থাকে এর ভিউ। মাত্র পাঁচ বছরে যার ভিউ ছাড়িয়ে গেছে গোটা বিশ্বের জনসংখ্যাকেও!
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ