বাংলা৭১নিউজ,(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি: ঘরে আটকে রেখে গৃহবধূর নগ্ন ছবি ধারণ করে চাঁদা দাবি ও অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ।
গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের শাসলাপিয়ালা গ্রাম থেকে অশ্বিনী কুমার বর্মণকে আটক করে পুলিশ। তিনি ওই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও মৃত বিজয় কুমার বর্মণের ছেলে। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান।
গৃহবধূর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০ দিন পূর্বে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের নারায়ণ চন্দ্র বর্মণের ছেলে জীবন চন্দ্র বর্মণ ওই গৃহবধূকে ভুল বুঝিয়ে শহরে এক বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে তাকে আটকে রেখে দুজন তার গলায় ছুরি ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাপড় খুলে নগ্ন করে কিছু ছবি ধারণ করে এবং গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এক সময় তারা গৃহবধূকে ধর্ষণের জন্য উদ্যত হলে গৃহবধূর চিৎকারে তারা ব্যর্থ হয়। এ সময় বাইরে পাহাড়া দেয় একই এলাকার বিলাতু ও রাজেন্দ্র নামে দুই ব্যক্তি। পরে তারা মোটরসাইকেলযোগে গৃহবধূকে তার স্বামীর বাড়ির পাশে নামিয়ে দিয়ে এক লক্ষ টাকা দাবি করে। সেটা না দিলে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
গত ২৫ আগস্ট বিকেলে গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার বাসায় ঢুকে অশ্বিনী আবারও তার কাছে এক লক্ষ টাকা দাবি করে। এ সময় সেই গৃহবধূ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাৎক্ষণিক তার হাতে ২০ হাজার টাকা দেন। এতেও ক্ষান্ত হয় না অশ্বিনী।
এ ঘটনায় বিচলিত হয়ে ওই গৃহবধূ সমস্ত ঘটনা তার স্বামীকে জানান। পরে তার স্বামী বিষয়টি এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের জানালে একটি সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে অভিযুক্তরা তাদের অপকর্মের কথা স্বীকার করে ও উল্টো ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
পরে উপায় না পেয়ে ওই গৃহবধূ ন্যায়বিচারের আশায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অশ্বিনীকে আটক করে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে