বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় ঢাকা ট্রেড সেন্টার এলাকায় দোকান বসানো নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হকারদের আবারও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা প্রায় দুইটা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এ সময় আশপাশের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন আহত হন। পুলিশ ঢাকা ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালিয়ে শতাধিক শ্রমিককে আটক করে পল্টন থানায় নিয়ে যায়।
ট্রেড সেন্টারের বারান্দা ও সামনের ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে হকারদের বসা নিয়ে একদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। গতকাল বৃহস্পতিবারও একই কারণে সেন্টারের দোকানমালিকদের সঙ্গে হকারদের মারামারি হয়। দোকানমালিকদের দাবি, সেন্টারের সামনে হকাররা বসার কারণে সেখানে ক্রেতাদের আসা-যাওয়ায় সমস্যা হয়। এ কারণে হকারদের বসতে দেওয়ার পক্ষে নন তাঁরা। কিন্তু হকাররা ছোট পরিসরে হলেও সেখানে পসরা নিয়ে বসার দাবি জানান। মূলত এই নিয়েই দুই দিন এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ট্রেড সেন্টারের দোকানমালিক ও হকারদের সঙ্গে আজ সকালে আলোচনা চলছিল। আলোচনার একপর্যায়ে হকাররা সেন্টারের একজন দোকানমালিক ও শ্রমিককে মারধর করে। এরপর মালিক ও শ্রমিকেরা সেন্টারের ভেতর ঢুকে মূল গেট বন্ধ করে দেয়। তারা হকারদের দিকে ইটের টুকরা ছুড়তে থাকেন। হকাররাও নিচ থেকে ইট মারতে থাকেন। দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এ সময় মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেনের মাথায় ইটের টুকরা লাগে। এতে তিনি আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বেলা দুইটার পরে মোর্শেদ বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। সেন্টারের ভেতর থেকে শতাধিক শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। যাচাইবাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এস