শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মাসুদ আলী খান মারা গেছেন রিজার্ভ বাড়ছে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা স্পিকারের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে আইন উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান চার দিনের রিমান্ডে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে আরও সক্রিয় হতে হবে সরকারকে কোস্টগার্ডের ডিজির দায়িত্ব নিলেন রিয়ার এডমিরাল জিয়াউল হক সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের অর্থপাচার অনুসন্ধানে সিআইডি সবুজবাগে ২১ মামলার আসামিকে হত্যার অভিযোগ কসবায় বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য উদ্ধার বিসিএস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী ৪ বার অংশ নিতে পারবেন রোহিঙ্গাদের উত্তর আমেরিকায় পুনর্বাসনে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র নৌকায় যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন ৩০ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী সাবেক কর কমিশনার রঞ্জিত ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রবি আজিয়াটার মুনাফা বেড়েছে ১৩৩.৩৩ শতাংশ শুক্রবার থেকে কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ পলিথিন বাসচাপায় ববি শিক্ষার্থী নিহত, ফের মহাসড়ক অবরোধ নির্বাচনে যেতে ১২ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল হাসিনা সরকার: নুর জামালপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করা ৯৭ বাংলাদেশিকে ফেরত নিতে অনুরোধ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে মেগা চুরি হয়েছে : ড. দেবপ্রিয়

গুলশানে ৪০০ কোটি টাকার বাড়ি বেহাত, দুদকের অভিযান

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

গুলশান-২ এর ৯৮ নং সড়কের সরকারিভাবে পরিত্যক্ত প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বাড়ি বেহাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বুধবার (১৫ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিম ওই অভিযান পরিচালনা করে। 

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার গুলশান এলাকায় ১৯৭১ সালে পরিত্যক্ত একটি বাড়ি ব্যক্তি মালিকানায় নামজারি করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

তিনি বলেন, অভিযানে টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাড়ির যাবতীয় নথি, এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক কর্তৃক ব্যক্তি মালিকানায় নামজারির সব রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত সব রেকর্ডপত্র যাচাই করে অভিযোগের বিষয়ে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪৭ বছর ধরে ঝুলে থাকা জটিলতার সমাধান হয়ে গেছে মাত্র পাঁচ মাসেই। গায়েব হয়ে গেছে সংশ্লিষ্ট নথিও। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নিজেদের ন্যায্য হিস্যা ছেড়ে দ্বিতল ভবনসহ ১ বিঘা ৫ কাঠা ১০ ছটাক আয়তনের একটি বাড়ি ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তর করেছে।

ঢাকার গুলশান-২ এর সিইএন (সি) ব্লকের ৯৮ নং সড়কের ৬ নম্বর বাড়িটির বর্তমান মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। ৯৮ নং সড়কের ৬ নম্বর বাড়ির পুরোনো মালিকের নাম নবাব ওয়াজি উল্লাহ। স্বাধীনতার আগে এখানে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। পরবর্তী সময়েও এর কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান ওয়াজি উল্লাহ।

স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশবলে (পিও-১৬/৭২) বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ’৭৩ সালে বাড়িটি গণপূর্তের গেজেটভুক্ত হয়। এরপর ওই বাড়ির এক সময়ের কেয়ারটেকার কেপি আজগার আলী এর মালিকানা দাবি করে হাইকোর্টে রিট (নম্বর ২৫১/১৯৭৩) করেন। ১৯৭৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত নয় মর্মে ঘোষণা করা হয়।

সাধারণত এ ধরনের রায়ের বিরুদ্ধে পূর্ত মন্ত্রণালয় আপিল করে থাকে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এই রিটের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। বরং ১৯৮৬ ও ৮৮ সালে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের গেজেটে পরিত্যক্ত তালিকায় এই বাড়িটির নাম ওঠানো হয়নি।

শুধু একটি মামলার রায়ের ওপর ভিত্তি করে কোনো সম্পত্তিকে এভাবে পরিত্যক্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নজির এ দেশে আর নেই বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। অন্যদিকে, রিটে জয়লাভ করলেও বাড়ির দখল বুঝে নিতে কেপি আজগর আলীকে আদালতে আরেকটি আবেদন করতে হতো। কিন্তু তিনিও সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেননি।

অভিযোগ রয়েছে, দখল পাওয়ার জন্য আদালতে গেলে বাড়িটি কোনোভাবেই রাজউকের হাতছাড়া হওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়টি বুঝতে পেরেই রিটকারী কেপি আজগর আলী আদালতের দ্বারস্থ হননি। ফলে হাইকোর্টের রায় সত্ত্বেও সেই সময় বাড়িটির দখলস্বত্ব অনিষ্পন্ন রয়ে যায়। আইনি রাস্তায় না হেঁটে শুরু থেকেই মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালীদের সন্তুষ্ট করে বাড়িটি দখলে নিতে চেয়েছেন আজগর আলী।

৪৭ বছর পর এ প্রক্রিয়ায় সফল হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি হঠাৎ করেই বাড়ির দখলস্বত্ব কেপি আজগর আলীকে বুঝিয়ে দেওয়ার তৎপরতা শুরু হয়। মাত্র চার মাসের প্রক্রিয়ায় তার নামে নামজারি করে দেওয়া হয়েছে ওই বাড়ি। রাজউকের স্টেট শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২ আগস্ট রাজউকে জমিটির বণ্টননামা রেকর্ড এন্ট্রি হয়—যার ক্রমিক নং ২৯। বণ্টননামা সূত্রে নামজারির চূড়ান্ত পত্র জারি হয় একই বছরের ১৭ অক্টোবর।

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com