শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মাও সেতুংয়ের জন্মদিনে চীনের আকাশে ‘গোপন বৈশিষ্ট্যের’ যুদ্ধবিমান ক্রসফায়ারে নিহত বিএনপি নেতার পরিবারকে বাড়ি দিচ্ছেন তারেক রহমান নাশকতাকারীরা কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন সুখরঞ্জন ঢাকা মেইলের সাংবাদিক কাজী রফিক আর নেই পাকিস্তানে পৃথক সংঘর্ষে এক মেজর ও ১৩ সন্ত্রাসী নিহত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক বারবার জাতীয় পতাকাকে খামচে ধরছে পুরোনো শকুন: উপদেষ্টা আদিলুর রহমান আরাকান থেকে পালিয়ে দেশে ঢুকেছে আরও ৩৪ রোহিঙ্গা তেল আবিব বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুথিদের আবাসন মেলায় ৪০৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট বুকিং নির্বাচনেও যেতে হবে কিন্তু তার আগে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে: দেবপ্রিয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল: আইএসপিআর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রধান ফটক হলো নির্বাচন: ফখরুল সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শুরু সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হতে হবে, কাউকে প্রতিপক্ষ ভাবা ঠিক নয় জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক দল হবে না: সারজিস আলম খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই ঢাকামাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তদন্ত চলছে: ফায়ারের ডিজি

গুলশানে ৪০০ কোটি টাকার বাড়ি বেহাত, দুদকের অভিযান

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

গুলশান-২ এর ৯৮ নং সড়কের সরকারিভাবে পরিত্যক্ত প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বাড়ি বেহাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বুধবার (১৫ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিম ওই অভিযান পরিচালনা করে। 

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার গুলশান এলাকায় ১৯৭১ সালে পরিত্যক্ত একটি বাড়ি ব্যক্তি মালিকানায় নামজারি করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

তিনি বলেন, অভিযানে টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাড়ির যাবতীয় নথি, এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক কর্তৃক ব্যক্তি মালিকানায় নামজারির সব রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত সব রেকর্ডপত্র যাচাই করে অভিযোগের বিষয়ে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪৭ বছর ধরে ঝুলে থাকা জটিলতার সমাধান হয়ে গেছে মাত্র পাঁচ মাসেই। গায়েব হয়ে গেছে সংশ্লিষ্ট নথিও। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নিজেদের ন্যায্য হিস্যা ছেড়ে দ্বিতল ভবনসহ ১ বিঘা ৫ কাঠা ১০ ছটাক আয়তনের একটি বাড়ি ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তর করেছে।

ঢাকার গুলশান-২ এর সিইএন (সি) ব্লকের ৯৮ নং সড়কের ৬ নম্বর বাড়িটির বর্তমান মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। ৯৮ নং সড়কের ৬ নম্বর বাড়ির পুরোনো মালিকের নাম নবাব ওয়াজি উল্লাহ। স্বাধীনতার আগে এখানে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। পরবর্তী সময়েও এর কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান ওয়াজি উল্লাহ।

স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশবলে (পিও-১৬/৭২) বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ’৭৩ সালে বাড়িটি গণপূর্তের গেজেটভুক্ত হয়। এরপর ওই বাড়ির এক সময়ের কেয়ারটেকার কেপি আজগার আলী এর মালিকানা দাবি করে হাইকোর্টে রিট (নম্বর ২৫১/১৯৭৩) করেন। ১৯৭৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত নয় মর্মে ঘোষণা করা হয়।

সাধারণত এ ধরনের রায়ের বিরুদ্ধে পূর্ত মন্ত্রণালয় আপিল করে থাকে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এই রিটের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। বরং ১৯৮৬ ও ৮৮ সালে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের গেজেটে পরিত্যক্ত তালিকায় এই বাড়িটির নাম ওঠানো হয়নি।

শুধু একটি মামলার রায়ের ওপর ভিত্তি করে কোনো সম্পত্তিকে এভাবে পরিত্যক্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নজির এ দেশে আর নেই বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। অন্যদিকে, রিটে জয়লাভ করলেও বাড়ির দখল বুঝে নিতে কেপি আজগর আলীকে আদালতে আরেকটি আবেদন করতে হতো। কিন্তু তিনিও সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেননি।

অভিযোগ রয়েছে, দখল পাওয়ার জন্য আদালতে গেলে বাড়িটি কোনোভাবেই রাজউকের হাতছাড়া হওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়টি বুঝতে পেরেই রিটকারী কেপি আজগর আলী আদালতের দ্বারস্থ হননি। ফলে হাইকোর্টের রায় সত্ত্বেও সেই সময় বাড়িটির দখলস্বত্ব অনিষ্পন্ন রয়ে যায়। আইনি রাস্তায় না হেঁটে শুরু থেকেই মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালীদের সন্তুষ্ট করে বাড়িটি দখলে নিতে চেয়েছেন আজগর আলী।

৪৭ বছর পর এ প্রক্রিয়ায় সফল হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি হঠাৎ করেই বাড়ির দখলস্বত্ব কেপি আজগর আলীকে বুঝিয়ে দেওয়ার তৎপরতা শুরু হয়। মাত্র চার মাসের প্রক্রিয়ায় তার নামে নামজারি করে দেওয়া হয়েছে ওই বাড়ি। রাজউকের স্টেট শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২ আগস্ট রাজউকে জমিটির বণ্টননামা রেকর্ড এন্ট্রি হয়—যার ক্রমিক নং ২৯। বণ্টননামা সূত্রে নামজারির চূড়ান্ত পত্র জারি হয় একই বছরের ১৭ অক্টোবর।

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com