সাম্প্রতিক সময়ে এআই কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বদৌলতে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে প্রযুক্তি দুনিয়ায়। স্বয়ংক্রিয় এই প্রযুক্তির পরিসর বাড়ছে প্রতিনিয়ত, ইতিমধ্যেই ওপেন এআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি, গুগল বার্ডসহ মিডজার্নির মতো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) পরিষেবা চালু হওয়ার পরে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে।
সর্বশেষ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস্ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টেক জায়ান্ট গুগল ‘জেনেসিস এআই’ নামে আর্টিকেল জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড এআই’র পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই এআই এর মাধ্যমে পত্রিকার খবরের ফরমেট অনুযায়ী প্রতিবেদন লেখা যাবে। মাত্র কয়েকটি ফ্যাক্ট বা তথ্য ইনপুট দিলেই সেটির উপর ভিত্তি করে ইন্টারনেটে থাকা ডাটা সংগ্রহ করে সম্পূর্ন নিউজ স্টাইলে আর্টিকেল বানিয়ে দিতে সক্ষম জেনেসিস।
এদিকে গুগল জানিয়েছে, জেনেসিস মূলত সংবাদ মাধ্যম যেমন: নিউ ইয়র্ক টাইমস্, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ওয়াশিংটন পোস্ট এর মতো আউটলেটগুলোর সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রে একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা সংবাদ সংগ্রহ থেকে ফরমেশন তৈরীতে সাংবাদিকদের সাহায্য করবে।
বিষয়টি নিয়ে গুগলের এক মুখপাত্র জেন ক্রিডার জানিয়েছে, এই এআই টুলটি সাংবাদিকদের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রতিবেদনের শিরোনাম তৈরী এবং ভিন্ন আঙ্গিকে তথ্য উপস্থাপনায় সাহায্য করবে। রিপোর্টিং কিংবা ফ্যাক্ট চেকিং এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের উদ্দেশ্যে এটিকে বানানো হয়নি।
তবে প্রশ্ন তৈরী হয়েছে, জেনেসিসের কাজের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে, গুগলের দাবি অনুযায়ী এটি প্রতিবেদন তৈরীতে সাহায্য করবে কিন্তু ইতিমধ্যেই তাদের জিমেইল ও গুগল ডক- এ ‘হেল্প মি রাইট’ নামে একটি পরিষেবা আছে, যা কিনা চ্যাটবটের মতো তথ্য সংগ্রহ করে একটি অসম্পূর্ন লেখাকে পুরোপুরি পেশাদার ফরমেশন বানিয়ে দিতে পারে।
সেক্ষেত্রে জেনেসিস যদি সংবাদ মাধ্যমের আর্কাইভ থেকে তথ্য নিয়ে নতুন একটি ল্যাংগুয়েজ লার্নিং মডেল তৈরি করে সংবাদপত্রের ভাষা শৈলী বুঝতে সক্ষম হয় তাহলে এটি হবে যুগান্তকারী।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়, যেহেতু এআই নির্ভর পরিষেবাগুলো এখনো সম্পূর্ণ নির্ভুল তথ্য দিতে সক্ষম নয় তাই সংবাদের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে এটির ভূমিকা নিয়ে।
বাংলা৭১নিউজ/আরকে