দীর্ঘ ১১ দিন যুদ্ধ চলার পর ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় গাজা, পশ্চিম তীর ও ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল শুরু হয়। আতশবাজি ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ফিলিস্তিনিরা আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এ ঘোষণা শুনে অনেকে মসজিদে আকসায় সেজদায় লুটে পড়ে মহান সৃষ্টিকর্তায় কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় গাজা উপত্যাকার একটি বিধ্বস্ত বাড়ির সামনে শিশুদের আনন্দ মিছিলে ।
শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে ১১ দিনের সহিংসতার অবসান হলো। এই সহিংসতায় কমপক্ষে দু’শ ৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছের। এর মধ্যে ৬৫ জন শিশুও আছে। আর ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন ১২জন। এর মধ্যে দুইজন শিশুও রয়েছে।
এর আগে গত মধ্যরাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে গাজায় হামলা বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। নেতানিয়াহুর অফিসের ঘোষণার আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যুদ্ধবিরতির এই সম্মতি আসে। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিসরের দেওয়া সমঝোতা প্রস্তাব অনুযায়ী যুদ্ধবিরতিতে তারা সম্মত। তবে এই যুদ্ধবিরতি হবে ‘দ্বিপক্ষীয় ও শর্তহীন’।
সূত্র : আল জাজিরা