বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ শহর গাজায় সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইসরাইল বাহিনীর সাথে আরব আমিরাতের এক পাইলট অংশ নিয়েছেন। এমন অভিযোগ করেছেন ইসরাইলের সাংবাদিক ইদি কোহেন।
তুরস্কের গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এই চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করেছে।
কোহেনের দাবি, আরব আমিরাতের সেই পাইলট তিন সপ্তাহ আগে ইসরাইলে এসেছিলেন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান চলানোর প্রশিক্ষণ নিতে।
কোহেন একটি টুইটার বার্তায় বলেছেন, আরব আমিরাতের পাইলট গাজায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্যে করা ইসরাইলের সাম্প্রতিক ১৪০ বার বিমান হামলায় অংশ নিয়েছেন।
কোহেন দুবাই পুলিশের ডেপুটি চেয়ারম্যান দাই খালফান এর সাথে ফোনে কথা বলেন। তবে দাই খালফান গাজার বিমান হামলায় আরব আমিরাতের অংশ নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইসরাইলের মিডিয়ায় খবর প্রকাশ পেয়েছিল, আমিরাতের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি ইসরাইল সফর করেছেন। তারা আমেরিকায় প্রস্তুতকৃত ইসরাইলের এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমানের ক্ষমতা নিয়ে আলাপ করেছেন।
ইসরাইলের মিডিয়ায় এই তথ্য প্রকাশের এক মাসের মাথায় খোদ ইসরাইলের সাংবাদিক ইদি কোহেন এমন চাঞ্চল্যকর খবর টুইট করলেন।
দেড়’শ বার বিমান হামলার পর ইসরাইল–হামাসের অস্ত্রবিরতি
বুধবার ও বৃহস্পতিবার গাজায় ১৫০টির বেশি স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পর এবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও হামাস।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি,বুধবার গাজায় তাদের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি ছোড়ার পরই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। জবাবে ইসরায়েল ট্যাংক থেকে গোলা ছুড়েছে। এরপর আবার প্রতিশোধ নিতে বুধবার (৮ আগস্ট) রাতে ইসরায়েলি স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়।
হামাসের সামরিক শাখার পক্ষ থেকে রকেট হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। এর আগে সপ্তাহের শুরুর দিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলের শেল হামলায় দুই হামাস সদস্য নিহত হয়।
বুধবার (৮ আগস্ট) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এদিন মধ্যাঞ্চলীয় গাজার জাফারায়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইনাস খামাশ ও তার ১৮ মাস বয়সী মেয়ে নিহত হয়েছে। ২৩ বছর বয়সী ইনাস অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। হামলায় তার স্বামীও আহত হয়েছেন। বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের এক সদস্য নিহত হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এক টুইটার পোস্টে দাবি করেছে, তারা গাজায় একটি অস্ত্র তৈরির কারখানা ও গুদামসহ ১৪০টি কৌশলগত জায়গায় হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ্য,১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েল ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের একটা বড় অংশ দখল করে নেয়। পরে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের সীমানা নির্ধারণ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে এই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। ফিলিস্তিনিরা চায় পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করা হোক।
আর ইসরায়েলের দাবি,জেরুজালেম অবিভাজ্য। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট প্রশ্নে দীর্ঘদিন ধরেই স্বতন্ত্র দুইটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নীতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিল আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে সেই নীতি থেকে সরে এসে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্র: এরাবিয়ান জার্নাল।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস